ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের শীতালি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন মহিদুল ইসলাম মোল্ল্যা, আবদুস শহিদ মিয়া, সেন্টু মিয়া, আকুল হোসেন, শিমুল হোসেন, বকুল মিয়া, আবদুর রশিদ খাঁসহ ১০ জন। তাঁদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববার উপজেলার বগুড়া ইউনিয়ন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যাওয়ার পথে কর্মীদের দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ট্রাক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। আজ সকালে ওই ইউনিয়নের দলিলপুর গ্রামে এ নিয়ে আবার উত্তেজনা দেখা দেয়। দলিলপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নায়েব আলী ও শীতালি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা লাল্টু জোয়ার্দ্দারের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষ শীতালি বাজারে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন ঢাল, সড়কি, রামদা, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা নায়েব আলী বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যাওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে গতকাল বসির উদ্দিন নামের তাঁদের পক্ষের একজনকে তাড়া করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে আজ সকালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে তাঁদের পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় নেতা লাল্টু মিয়া বলেন, আজ তাঁদের পক্ষের আবদুর রশিদ নামের একজনকে আহত করায় এ সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁদেরও পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।