Close Menu
    Facebook X (Twitter) Instagram
    রংপুর ডেইলী
    • Home
    • Rangpur
    • International
    • Islamic
    • Life Style
    • Insurance
    • Health
    Facebook X (Twitter) Instagram
    রংপুর ডেইলী

    আমেরিকার পরামর্শেই র‍্যাব সৃষ্টি: প্রধানমন্ত্রী

    নিজস্ব প্রতিবেদকBy নিজস্ব প্রতিবেদকOctober 7, 2022No Comments5 Mins Read
    প্রধানমন্ত্রী

    আমেরিকার পরামর্শেই র‍্যাব সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমেরিকাই র‍্যাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। র‍্যাবের অস্ত্রশস্ত্র, হেলিকপ্টার এমনকি তাদের ডিজিটাল সিস্টেম, আইসিটি সিস্টেম সবই আমেরিকার দেওয়া।

    এই র‌্যাবকে দিয়েই বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, এই বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া কি সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়া?

    যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সদ্য সমাপ্ত রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, ‘আমেরিকা যেভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয় বা কোনো কথা বলে বা অভিযোগ আনে আমার একটাই কথা, যেমন আপনারা ট্রেনিং দিয়েছেন তেমন তারা কার্যক্রম করেছে। আমাদের করার কী আছে?’

    সংবাদ সম্মেলনে একটি বার্তা সংস্থার সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন—আমেরিকা র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গণতন্ত্র সম্মেলনে তারা বাংলাদেশকে দাওয়াত দেয়নি। মানবাধিকার এবং বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা বলে থাকেন। এ প্রেক্ষাপটে যেটা লক্ষ করা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কটি একটা টানাপোড়েনের মধ্যে আছে। আপনি এই সম্পর্কটা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন।

    জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যাদের দিয়ে এ দেশের সন্ত্রাস দমন করেছি, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার অর্থটা কী? সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়া? আমার এটাও প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে তাহলে সন্ত্রাস দমনে কি তারা নাখোশ?’

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে র‍্যাব হোক, পুলিশ হোক বা যে–ই হোক—কেউ যদি কোনো অপরাধ করে, তার কিন্তু বিচার হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ ইচ্ছেমতো গুলি করে মারলেও তাদের কিন্তু সহসা বিচার হয় না। শুধু একটা বিচার হলো, যখন আমেরিকার লোক সবাই আন্দোলনে নামল। তখন ওই একটাই বিচার সারা জীবনে তারা করতে পেরেছে। তারা তো কথায় কথায় গুলি করে মেরে ফেলে দেয়।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কতজন বাঙালি মারা গেছে। সেখানে কিন্তু তারা কিছু বলে না। সে কথাগুলো আমি স্পষ্ট তাদের বলেছি। আমি কিন্তু বসে থাকিনি। আমি মনে করি এটা আমাদের বলার কথা। দ্বিতীয় কথা যে কয়েকটা আন্তর্জাতিক সংস্থা খুব তুলল গুম খুন, গুম খুন। গুমের হিসাব যখন বেরোতে শুরু করল, তখন দেখা গেল সব থেকে বেশি গুম জিয়াউর রহমানের আমলেই শুরু। তারপর থেকে তো চলছেই। তারপর যখন আমরা তালিকা চাইলাম, ৭৬ জনের তালিকা পাওয়া গেল। আর এই ৭৬ জনের মধ্যে কী পাওয়া গেল, আপনারাই ভালো জানেন।’

    গুম প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর মধ্যে এমনও আছে, মাকে লুকিয়ে রেখে আরেকজনকে শায়েস্তা করতেও মাকে খুন করেছে, গুম করেছে সেই ঘটনা বের হয়ে যাচ্ছে। আমি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই যে আপনারা খুঁজে খুঁজে এসব বের করেন। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ধরে। একজন আঁতেলের কথা বলতে চাই না। ঢাকা থেকে তিনি চলে গেলেন খুলনা। বললেন তাকে গুম করা হয়েছে। দেখা গেল নিউমার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নিউমার্কেটেই তাকে খুঁজে পাওয়া গেল। এ রকম ঘটনা আছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর যে তালিকা আছে সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ভারত থেকে কিছু নাগরিক পলাতক আসামি। তাদের নামও সেই তালিকায়। এটা কেমন করে হয়? আবার এ রকমভাবে বেশ কিছু নাম আছে, যারা আমেরিকাতেই লুকিয়ে আছে। সে রকমও তথ্য আছে। সে বিষয়গুলো আমরা তাদের সামনে তুলে ধরেছি যে এই যে গুম গুম করেন, তাহলে আগে সেটা দেখেন কী কারণে। আর এ রকম বহু গুমের ঘটনা যখনই ঘটে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিন্তু তাদের খুঁজে বের করে। সেই জিনিসটা আসেই না বা পত্রিকায় আপনারা বড় করে দেখান না। গুমটা যত বড় করে দেখান, যখন উদ্ধার হয়, তা যদি সমানভাবে দেখাতেন, তাহলে তো বাংলাদেশের এই বদনামটা হতো না।

    এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা আমাদের কাছে এসব প্রশ্ন করেছিল, এখন মনে হয় যে যখন দেখেছে যে ভেতরে আসলে গুম গুম করেছে, সে রকম গুম গুম ব্যাপার না। তখন তাদের কী অবস্থা, এই প্রশ্ন তাদের কাছে করলে বোধ হয় ভালো হয়। সেটাই আমি মনে করি।’

    ‘নিজেদের ব্যর্থতার কথা আমেরিকা বলে না’ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সেই তালেবানের হাতেই ক্ষমতা দিয়ে চলে এল আমেরিকার সেনারা। বাইডেন সাহেব তুলে নিয়ে গেলেন সবাইকে। আবার সেই রাষ্ট্র চলে গেল আফগানিস্তানে তালেবানদের হাতে। ৪০ বছর তো তারাই রাজত্ব করল। নিজেদের ব্যর্থতার কথা তারা বলে না তো।

    আমেরিকার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভিয়েতনামে ৩০ বছর যুদ্ধ করল। বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের মদদ দিল। আমরা কিন্তু আমাদের দেশ স্বাধীন করেছি। তাদের নিজেদের চিন্তা নিজেদের করা উচিত।’

    এখন আবার আমেরিকা ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধে সমানে মদদ দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কার ক্ষতি হচ্ছে? সাধারণ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। একটা দেশ আরেকটা দেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়, এটা কেমন কথা! আমি কিন্তু আমার বক্তৃতায় এ কথা স্পষ্ট বলে এসেছি। এটাও বলেছি, এই যুদ্ধ থামাতে হবে। শুধু অস্ত্র প্রতিযোগিতা আর যুদ্ধ করে শুধু অস্ত্র প্রস্তুতকারী বা অস্ত্র বিক্রিকারী দেশ লাভবান হবে আর আমাদের মতো সাধারণ দেশের মানুষ না খেয়ে মরবে, কষ্ট পাবে।’

    তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কেন, ইউরোপের মানুষই তো কষ্টে আছে। আজকে ব্রিটেনে বিদ্যুতের দাম ৮০ ভাগ বৃদ্ধি করেছে। আমি যদি ৪০ ভাগ বৃদ্ধি করি আপনারা কেমনভাবে চিল্লাবেন? তাদের জীবনের সবকিছুই বিদ্যুতে। বাড়ির দরজাও খোলে বিদ্যুতে, চুলাও জ্বলে বিদ্যুতে। আমাদের তো তা না। কাজেই সেখানে কিন্তু এ অবস্থার সৃষ্টি। আমেরিকারও একই অবস্থা। প্রত্যেক জিনিসের দাম বেড়েছে।’

    জার্মানির মতো দেশ থেকে শুরু করে অনেকেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফিরে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটাই তো বাস্তবতা। হ্যাঁ, আমাদের ওপরও প্রচণ্ড চাপ। অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আমি তো কোনো চাপের কাছে মাথা নত করিনি। যেটা আমার প্রয়োজন সেটা আমি করব। হ্যাঁ, যাতে দেশের এনভায়রনমেন্ট নষ্ট না হয়, সেটা নিয়ে সচেতন আছি। এটা নিয়ে আন্তর্জাতিক বহু ফোরামে আমার বিতর্ক হয়েছে। এখন তারা কী বলবে? সামনে পেলেই জিজ্ঞাস করতাম যে এখন কী বলবেন? আবার তো সেই আদি যুগে যেতে হলো।’

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    • Website

    নিজস্ব প্রতিবেদক বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করে পাঠকের কাছে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য সংবাদ পৌঁছে দেয়। তারা ঘটনার প্রকৃত তথ্য ও বিশ্লেষণ তুলে ধরে যাতে পাঠক বিস্তৃত ও স্বচ্ছ ধারণা পেতে পারেন। নিজস্ব প্রতিবেদকদের লক্ষ্য হলো দ্রুত এবং নিখুঁত প্রতিবেদনের মাধ্যমে সমাজে তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

    Leave A Reply Cancel Reply

    সাম্প্রতিক
    • সুস্থ যৌনজীবনের জন্য জরুরি ১০টি পরামর্শ
    • গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর যত্নের সম্পূর্ণ গাইড
    • ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার কৌশল
    • ডিপ্রেশন মোকাবিলায় প্রাকৃতিক সমাধান
    • ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা
    • শিশুদের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করার উপায়
    • শীতকালে সুস্থ থাকার ৭টি টিপস
    • গরমে সুস্থ থাকার জন্য করণীয় ও বর্জনীয়
    • শরীরের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের গুরুত্ব
    • মানসিক চাপ কমিয়ে সুস্থ থাকার কৌশল
    • শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়
    • চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস
    • হার্টের যত্নে কোন খাবার বেশি খাবেন
    • উচ্চ রক্তচাপ কমানোর প্রাকৃতিক পদ্ধতি
    • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ উপায়
    • প্রেমে একে অপরকে সময় দেওয়ার গুরুত্ব
    • দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে নতুন করে সাজানোর কৌশল
    • প্রেমে আস্থা নষ্ট হলে কীভাবে ফিরিয়ে আনবেন
    • সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলেশনশিপ পরিচালনার টিপস
    • প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে রাগ কমানোর ৫টি পদ্ধতি
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.