মৌসুমের শেষ সময়ে এসে দেশের সর্ববৃহৎ ইলিশের হাট চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে জাতীয় এ মাছের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে দামও।
তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় মাছ ওঠার পরিমাণ কম। আগে ভরা মৌসুমে প্রতিদিন এই ঘাটে দুই থেকে তিন হাজার মণ ইলিশ আসত। এবার কয়েক দিন ধরে প্রতিদিন আসছে দেড় থেকে দুই হাজার মণ মাছ। এসব ইলিশের অধিকাংশই ভোলা, বরিশাল, হাতিয়া, সন্দ্বীপসহ সাগর মোহনার।
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে পানি বাড়ায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার জেলেদের জালেও কিছু ইলিশ উঠছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাজারের আড়তদার ও মাছ ব্যবসায়ীরা।
ঘাটের একমাত্র নারী ব্যবসায়ী রোকেয়া প্রীতি বলেন, এ বছর ভরা মৌসুমে এ হাটে ইলিশের ব্যাপক সংকট ছিল। তবে এক সপ্তাহ ধরে আমদানি কিছুটা বাড়ায় ব্যবসায়ী-আড়তদারেরা খুশি। তিন-চার দিন ধরে ইলিশ বেশি আসছে। দামও কিছুটা কমেছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাট ঘুরে দেখা যায়, ৫০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা ও ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে দেড় শ থেকে দুই শ টাকা কম।
এই দামেই ইলিশ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। তবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন এ হাট থেকে ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার মানিক বলেন, বর্তমানে যে হারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে, এটা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকলে সারা দেশের মানুষ ইলিশ কিনে খেতে পারবে। তা ছাড়া ভারতে ইলিশ রপ্তানিও অব্যাহত রাখা যাবে।