বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সমর্থনে সত্যাগ্রহ পালন করার বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তার কোনো তথ্য দিতে পারেনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
ভারতের গণমাধ্যম দ্য অয়্যারের খবরে বলা হয়, দেশটির তথ্য অধিকার (আরটিআই) আইনে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মোদির, গ্রেপ্তার ও মুক্তি পাওয়ার কোনো নথি দিতে পারেনি।
.
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত বছর বাংলাদেশে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় মোদি বলেন, (বাংলাদেশের) স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এ দেশের সমর্থনে সত্যাগ্রহ করেছিলেন তিনি। আর এ সত্যাগ্রহ করে জেলে যেতে হয়েছিল তাঁকে।
মোদির এ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছিলেন ভারতের বিরোধী দলের নেতারা। তিনি যে সত্যাগ্রহ করেছিলেন, সে–সংক্রান্ত নথিও তাঁর কাছে চেয়েছিলেন বিরোধীরা।
বাংলাদেশে এসে ওই বক্তব্য দেওয়ার পর জায়েশ গুরনানি নামের এক ব্যক্তি তথ্য অধিকার আইনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি আবেদন করেন ২০২১ সালের ২৭ মার্চ।
মোদির ওই বক্তব্যের সূত্র ধরে পাঁচটি বিষয় জানতে চেয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে ছিল, মোদিকে সত্যাগ্রহ পালনকালে কোন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, এফআইআর আছে কি না, গ্রেপ্তারের কোনো নথি আছে কি না, গ্রেপ্তারের পর তিনি কোন জেলে ছিলেন এবং পরে মুক্তি পান সে–সংক্রান্ত নথি আছে কি না।
গুরনানির এসব প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেয়নি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। তবে কার্যালয় বলেছে, মোদির বক্তব্যেই শুধু এ–সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। বাংলাদেশে গিয়ে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, সেই বক্তব্য জবাবের সঙ্গে যোগ করে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জবাবে আরও বলা হয়, ২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর সম্পর্কে নথি সংরক্ষণ করা হচ্ছে।