কুরবানী যাদের ওয়াজিব কোরবানি ইসলামী আইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কুরআন ও হাদীসে এর গুরুত্ব অপরিসীম। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজরতের পর প্রতি বছর কোরবানি করেছেন। তিনি কখনই ত্যাগ ত্যাগ করেননি; বরং যারা কুরবানী পরিত্যাগ করেছে তাদের অভিশাপ দিয়েছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোরবানি করে না, সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে। কর, কোরবানি কি?
কুরবানী যাদের ওয়াজিব
নবী করিম (সা.) বলেন, কোরবানি হলো তোমাদের পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সুন্নত। আমাদের পুরস্কার কি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোরবানির পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে সওয়াব রয়েছে। ভেড়ার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ভেড়ার প্রতিটি লোমের জন্য একটি সওয়াব রয়েছে। – মুসনাদে আহমদ হজরত আয়েশা (রা.) নং থেকে বর্ণিত, কেয়ামতের দিন কোরবানির পশুকে শিং, পশম ও খুর দিয়ে পেশ করা হবে এবং কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই তা আল্লাহর কাছে কবুল হবে। তাই তুমি মহা আনন্দে কুরবানী কর। ‘
কুরবানী যাদের ওপর ওয়াজিব
১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সন্ধি পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্ক, বসবাসকারী ব্যক্তি যার নেসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে অর্থাৎ আসলিয়া (খাদ্য, বাসস্থান, উপার্জনের মাধ্যম ইত্যাদি) ব্যতীত তার ঘরে এই পরিমাণ অতিরিক্ত সম্পদ রয়েছে। ), যা সাড়ে সাত টন সোনা বা অর্ধেক। যার কাছে পঞ্চাশ টাকার সমপরিমাণ (প্রায় ৫৫ হাজার টাকা) রৌপ্য আছে তার ওপর কুরবানী করা ওয়াজিব। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ, স্বর্ণ-রৌপ্য, অলংকার, বসবাস ও খাবারের জন্য প্রয়োজন নেই এমন জমি, অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য এবং সকল অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, পোশাক, আসবাবপত্র, বাসনপত্রও বিবেচনা করা হবে। সম্পদের উপর এক বছর পার করার শর্ত নয়।
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল যে ব্যক্তির উন্মাদ পরিমাণ সম্পদ আছে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে না। মুসাফিরের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। কুরবানীর দিন অতিবাহিত হওয়ার পর মুসাফির বাড়ি ফিরলে তাকে কুরবানী করতে হবে না। কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ফাতাওয়া কাজীখান ৩/৩৪৪; বাদায়উস সানায়ে ৪/১৯৪; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫ উল্লেখ্য যে, তাকে মুসাফির বলা হয় যে ৪৮ মাইল বা প্রায় ৬ কিলোমিটার যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার এলাকা ত্যাগ করে। প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য নিজের পক্ষ থেকে কুরবানী করা ওয়াজিব।
কুরবানির মাসআলা মাসায়েলতার স্ত্রী, সন্তান ও পিতা-মাতার পক্ষ থেকে কুরবানী করা ওয়াজিব নয়। যদি কোন ব্যক্তি কুরবানীর উদ্দেশ্যে পশু ক্রয় করে তাহলে তার উপর পশু কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়। যে ব্যক্তি প্রতি বছর তার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলের পক্ষে কুরবানির মাসআলা মাসায়েল কোরবানি করে তার নতুন অনুমতির প্রয়োজন নেই। যার ওপর কুরবানী ওয়াজিব সে যদি কোনো কারণে কুরবানী না করে, তাহলে কুরবানীর দিন অতিবাহিত হওয়ার পর একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব।
মাসয়ালা ০১ ; কুরবানী যাদের ওয়াজিব
১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নিসাবের অতিরিক্ত পরিমাণের অধিকারী ব্যক্তির উপর কুরবানী করা একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মানসিকতার (মুসাফির নয়) প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ওয়াজিব। কুরবানীর নিসাবের ক্ষেত্রে অর্থ, স্বর্ণ, রূপা, অলংকার, বর্তমানে বসবাস ও খাদ্যের জন্য প্রয়োজনীয় জমি, প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ঘর, বাণিজ্যিক মালামাল এবং অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র গ্রহণযোগ্য।
(বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৩)
আর নেসাব সোনার ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি এবং রৌপ্যের ক্ষেত্রে সাড়ে পঞ্চাশ ওজন। টাকা বা অন্যান্য সম্পদের ক্ষেত্রে নিসাব হচ্ছে সাড়ে বাইশ টাকা রূপার মূল্যের সমান। আর যদি স্বর্ণ-রৌপ্য বা টাকা-পয়সার কোনো একটিতে আলাদাভাবে নেসাবের পরিমাণ না থাকে, তবে একাধিক বস্তুর প্রয়োজন হলে সাড়ে বাইশ আউন্স রূপার মূল্যের সমান হয়ে যায়, তাহলে তা ওয়াজিব। এটার উপর একটি বলি দিতে।
মাসয়ালা ০২ ; কুরবানী যাদের ওয়াজিব
যাকাতের নিসাব থেকে কুরবানীর নিসাবের ভিন্নতা;
যাকাতের নিসাবের ক্ষেত্রে সোনা, রৌপ্য, টাকা ও ব্যবসায়িক পণ্যের হিসাব করা হয়। অর্থাৎ, শুধুমাত্র বর্ধিত সম্পদ গণনা করা হয় এবং যেগুলি বর্ধিত নয় যেমন জমি, ফসল, গাড়ি ইত্যাদির হিসাব করা হয় না। অপরদিকে, কুরবানীর ক্ষেত্রে, সম্পদ ক্রমবর্ধমান হোক বা বর্ধিত হোক, সব ধরনের সম্পদের হিসাব করা হয়।
যাকাতের নিসাবের মালিক হওয়ার পর এক বছর পার করতে হবে। অন্যদিকে কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে বছর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়। পক্ষান্তরে ১০ই জিলহজের ফজর থেকে ১২ই জিলহজের সূর্যাস্তের মধ্যবর্তী যে কোনো সময় যদি সে নিসাবের মালিক হয় তাহলে তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। পদ ছাড়ার পর তিনি কী করবেন তা এই মুহূর্তে জানা যায়নি।
(আহসানুল ফাতাওয়া ৭/৫০৬) কুরবানী যাদের ওয়াজিব
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ০৩ ; কুরবানী যাদের ওয়াজিব
নাবালক শিশু যদি সামান্য পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয় এবং এই তিন দিনের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হয়, তাহলে তার ওপর কুরবানী করা ওয়াজিব।
(বাদায়েউস সানায়ে৫/৬৪) কুরবানী যাদের ওয়াজিব
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ০৪ ; কুরবানী যাদের ওয়াজিব
যারা মাঝে মাঝে পাগল হয়ে যায় এবং তারপর সুস্থ হয়ে যায় তাদের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।
(বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৪) কুরবানী যাদের ওয়াজিব
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ০৫ ; কুরবানী যাদের ওয়াজিব
কোন ব্যক্তি বাড়ি ঘর নির্মাণ করার জন্য টাকা জমা রাখে কিন্তু কোন পণ্য ক্রয় না করে থাকে তেমনি ভাবে প্রয়োজন অতিরিক্ত ফসলের মূল্য যদি নিসাব পরিমাণ হয়ে যায় তাহলে তার ওপর কুরবানী করা ওয়াজিব।
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ০৬ ; কুরবানী যাদের ওয়াজিব
যদি একক পরিবারের একাধিক ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত থাকে অর্থাৎ তাদের প্রত্যেকের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তবে তাদের প্রত্যেকের উপর আলাদা আলাদা কুরবানী ওয়াজিব। পরিবারের সকল সদস্যের উপর কুরবানী ওয়াজিব। সবার জন্য একটি ত্যাগ যথেষ্ট হবে না।
(আদ্দুররুল মুহতার ৬/৩১৩ ,ফাতাওয়া মাহমুদিয়া ১৭/৩১২)
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ০৭ ; কুরবানী যাদের ওয়াজিব
প্রয়োজন অতিরিক্ত জমি থাকলেও কুরবানী ওয়াজিব হয়।
(আহসানুল ফাতাওয়া ৭/৫০৬) কুরবানী যাদের ওয়াজিব
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ০৮ ; কুরবানী যাদের ওয়াজিব
ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব। সে নিজের পক্ষ থেকে কুরবানী করবে, তারপর সম্ভব হলে জীবিত বা মৃত পিতা-মাতা বা অন্যদের পক্ষ থেকে কুরবানী করতে পারবে। এমতাবস্থায় নিজের ওয়াজিব কুরবানী না করে অন্য লোকের পক্ষ থেকে যেমন মৃত পিতা-মাতা বা ছোট ছেলেমেয়েদের পক্ষ থেকে কুরবানী করা উচিত যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব ছিল না। এটা সঠিক পথ নয়, কারণ এতে ঐ ব্যক্তির ফরয কুরবানী আদায় হয় না।
(ফাতায়ায় মাহমুদিয়া ১৭/৩১২)
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ০৮ ; কুরবানী যাদের ওয়াজিব
যে ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তি যদি কুরবানীর তিনদিনে কুরবানী না করে পশু বা তার মূল্য সদকা করে দেয় তাহলে কুরবানী আদায় হবে না।
(বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৬ ফাতাওয়া মাহমুদিয়া ১৭/৩০৯) কুরবানী যাদের ওয়াজিব
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ০৯ ;
যদি কোন ব্যক্তি তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার পর কুরবানী না করে এবং ঐ তিন দিন পর সে গরীব হয়ে যায়, তাহলে তাকে কুরবানীর যোগ্য ছাগলটি দিতে হবে। গরীব হওয়ার জন্য কোরবানি মাফ হবে না। তাই যদি সে এটি সম্পন্ন করতে না পারে তবে তাকে এটি সম্পন্ন করার জন্য একটি উইল করতে হবে।
(বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৫ আল ইখতিয়ার ৫/২০ মোবাইল শামেলা থেকে গৃহীত)
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ১০ ;
যদি কোন ধনী ব্যক্তি কুরবানীর উদ্দেশ্যে একটি পশু ক্রয় করে অতঃপর কুরবানী করার পূর্বে তা হারিয়ে যায়, বা মারা যায় বা চুরি হয়ে যায়, তাহলে তার জন্য আরেকটি কুরবানী করা আবশ্যক।
(বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৬।কাযীখান ৩/৩৪৪আদ্দুররুল মুহতার ৬/৩১৫ ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫)
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ১১ ;
কোন ধনী ব্যক্তি যদি কুরবানীর পশু হারিয়ে যাওয়ার পর তা ক্রয় করে আবার কুরবানীর উদ্দেশ্যে ক্রয় করে এবং অতঃপর পূর্বে হারিয়ে যাওয়া পশুটি খুঁজে পায়, তাহলে উভয়টিই কুরবানী করা তার জন্য উত্তম। তবে সে যাকে ইচ্ছা কোরবানি করতে পারে। এমতাবস্থায় দুই পশুর দামের মধ্যে পার্থক্য থাকলে অতিরিক্ত অংশ সদকা হিসেবে দেওয়া হবে।
(বাদায়েউস সানায়ে৫/৬৭ ফাতাওয়া মাহমুদিয়া ১৭/৩১৭)
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ১২ ;
কোনো গরীব ব্যক্তি যদি কুরবানীর পশু হারিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় কুরবানীর উদ্দেশ্যে ক্রয় করে এবং পূর্বে হারিয়ে যাওয়া পশুটি খুঁজে পায় তাহলে উভয়কেই কুরবানী করতে হবে, একটি পশু কুরবানী করলেই যথেষ্ট হবে না। তবে গরীব ব্যক্তি যদি প্রথম পশুর পরিবর্তে দ্বিতীয় পশু ক্রয় করে তবে একটি পশু কুরবানী করাই যথেষ্ট হবে।
(বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৭ আযীযুল ফাতাওয়া ৬৭৯)
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ১৩ ;
কুরবানীর পশু ক্রয় করার পর কোন গরীব মারা গেলে বা হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে তার কুরবানী মাফ হয়ে যায়। আর তার জন্য পুনরায় কুরবানীর ব্যবস্থা করা জরুরী নয়।
(বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৬)
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ১৪ ;
কোন ব্যক্তি যদি অন্য কারো অনুমতি নিয়ে তার পক্ষ হয়ে কোরবানি করে দেয় তাহলে ওই ব্যক্তির (তার জন্য কুরবানী করে দিচ্ছে) কুরবানী আদায় হয়ে যাবে।
(বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৭)
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ১৫ ;
নাবালেগের কুরবানী; কুরবানী যাদের ওয়াজিব
অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের তেমন সুস্থ মস্তিষ্ক থাকে না, তবে নিসাব থাকলেও তাদের ওপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। তবে তাদের অভিভাবকরা তাদের নিজেদের সম্পদ দিয়ে তাদের পক্ষ থেকে কুরবানী করতে পারবে।
(বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬ রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২)
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ১৫ ;
মুসাফির ব্যক্তির কোরবানীর বিধান; কুরবানী যাদের ওয়াজিব
যে ব্যক্তি কুরবানীর দিন মুসাফির হবে (অর্থাৎ সে তার এলাকা ত্যাগ করেছে ৪৮ মাইল বা প্রায় ৬ কিলোমিটার) তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় বরং মুস্তাহাব।
ফাতাওয়া কাযিখান ৩/৩৪৪, বাদায়েউস সানায়েহ৪/১৯৫, হিদায়া ৪/৭৯, আদ্দুররুল মুহতার ৬/৩১৫)
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ১৬ ;
কুরবানীর পূর্ণ সময়; কুরবানী যাদের ওয়াজিব
মোট তিন দিন কুরবানী করা যায়। জিলহজের ১০,১১,১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে জিলহজের ১০তারিখে কুরবানী করা উত্তম।
(বাদায়েউস সানায়ে ৫/৮০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫, আল ইখতিয়ার ৫/১৯, মোবাইল শামেলা থেকে গৃহীত)
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ১৭ ;
যে এলাকার জনগণের উপর জুম্মা ও ঈদের নামায ফরয তাদের জন্য ঈদের নামাযের পূর্বে কুরবানী করা বৈধ নয়।
হাদীস শরীফে হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে; সে বলেছিল; নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন; যে ব্যক্তি সালাত আদায়ের পূর্বে যবেহ করল সে নিজের জন্য যবেহ করল। আর যে ব্যক্তি সালাতের পর কুরবানী করে, তার কুরবানী পূর্ণ হয় এবং সে মুসলমানদের নীতি অবলম্বন করে।
(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৩৫, সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৫৪৬, কাযীখান ৩/৩৪৪, আদ্দুররুল মুহতার ৬/৩১৫, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫)
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ১৮ ;
তবে বৃষ্টি বা অন্য কোন অজুহাতে প্রথম দিনে ঈদের নামায আদায় না হলে ঈদের নামায শেষ হওয়ার পর প্রথম দিনে (অর্থাৎ জাওয়ালের পর বা সূর্য ঢলে পড়ার পর) কুরবানী করা জায়েয হবে। মধ্য আকাশ থেকে)।
(কাযীখান ৩/৩৪৪আদ্দুররুল মুহতার ৬/৩১৫ ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫)
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ১৯ ;
১০ ও ১১তারিখ দিবগত রাতেও কুরবানী করা জায়েয।তবে দিনে কুরবানী করা ভালো।
(মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/২২, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩, আদ্দুররুল মুহতার ৬/৩২০, জাওহারাতুন নাইয়্যিরাহ ২/১৮৮)
কুরবানির মাসআলা মাসায়েল ২০ ;
কোন গরীব গরিব ব্যক্তি কুরবানি করার পর কুরবানির তিনদিনের মধ্যে সাহিবে নিসাব হলে পূর্ণরায় কুরবানী ওয়াজিব হবে না।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৫৩)