প্রতারণা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে বিশেষ কৌশল নিয়েছিলেন আসাদুল ও তাঁর চক্রের সদস্যরা। ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল হক বলেন, এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা ক্রেতাদের সঙ্গে ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে যোগাযোগ করতেন, সেগুলো ধরে তাঁদের খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল।
কারণ, এসব অ্যাকাউন্টে যেসব মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার খোলা হয়, সেগুলো তাঁদের নয়, অন্য ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত সিম কার্ড ব্যবহার করে এসব অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তাঁরা।
গত এপ্রিল মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই চক্রের একটি বিজ্ঞাপন দেখে স্মার্টফোন কেনার ফরমাশ দিয়েছিলেন সূত্রাপুর এলাকার মো. সাহিদ। কিন্তু তিনি টাকা পরিশোধ করেও মুঠোফোন পাননি। প্রতারিত হয়ে তিনি গত ৬ এপ্রিল সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি লিখেছেন, টাকা পাঠানোর পর তাঁর মুঠোফোনে একটি রসিদ পাঠানো হয়। ওই রসিদ নিয়ে তিনি কুরিয়ার সার্ভিসে গিয়ে যোগাযোগ করেন।
পরে কুরিয়ার সার্ভিসের লোকজন রসিদটি যাচাই-বাছাই করে ভুয়া বলে তাঁকে জানান।
পরবর্তী সময়ে ওই বিজ্ঞাপন দেওয়া নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা আর সম্ভব হয়নি।
এই মামলার তদন্ত করে গতকাল শুক্রবার যাত্রাবাড়ীর ওই মাদ্রাসা থেকে আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ডিবি কর্মকর্তা নাজমুল হক জানান। তিনি আজ বলেন, আসাদুলের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে।
নগরবাসীর উদ্দেশে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অস্বাভাবিক কম দামে কোনো পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখলে সেখান থেকে পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকা উচিত। আর কিনলেও পণ্যটি হাতে পাওয়ার পর দাম পরিশোধ করতে হবে।