বাম গণতান্ত্রিক জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়া গণসংহতি আন্দোলন ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে আরও পাঁচ দল ও সংগঠন মিলে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামের একটি মোর্চা করছে। অপর দলগুলোর মধ্যে আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য ও নুরুল হকের গণ অধিকার পরিষদ রয়েছে। আর ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নামে দুটি সংগঠন তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। ভাসানী অনুসারী পরিষদে যুক্ত রয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আজ রোববার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবের রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে এই সাত দল–সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নতুন এই রাজনৈতিক উদ্যোগের বিষয়ে মতৈক্য হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় বর্তমান ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন মোকাবিলায় গণতন্ত্র মঞ্চের রাজনৈতিক ভিত্তি ও কর্মসূচিগুলো চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী’ তৎপরতার নিন্দা জানানো হয়। বলা হয়, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন জবরদস্তি করে যে ধরনের দখলদারত্ব কায়েম করেছে, তা দেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে গুরুতরভাবে বিপন্ন করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদলের ওপর হামলা–সংঘর্ষের ঘটনায় সশস্ত্র ক্যাডারদের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো মামলাও করা হয়নি। বরং যাঁরা আক্রান্ত ও আহত হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন এই সাত দল–সংগঠনের নেতারা।