রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চঞ্চলা রানী নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরের দিকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার সকাল ১০টায় বদরগঞ্জ পৌরসভার শঙ্করপুর তেলিপাড়া গ্রামে নিজ ঘরের মেঝেতে পড়েছিল গৃহবধূর গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ। ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে দেবর মানিক ও তার শ্বশুড়। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পৌনে ১১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সিআইডি ও গোয়েন্দা বিভাগ। ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, সিআইডির সহযোগিতায় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে সন্ধ্যায় লাশ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আমরা চঞ্চলা রানীর পিতা নন্দলাল রায়ের করা নিয়মিত হত্যা মামলা নিয়েছি। ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে থাকা স্বামী বিষ্ণুরায় অধিকারী, দেবর মানিক অধিকারী, শ্বশুড় মন্টু অধিকারী ও শাশুড়ি ভাদরীকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
নিহত চঞ্চলা রানীর পিতা নন্দলাল রায় জানান, আমার মেয়ের বুক জ্বলা রোগ ছিল। জামাই ও বিয়াই মিলে মেয়ের অনেক চিকিৎসা করিয়েছেন। তিনি আগেও বুকের জ্বালা সইতে না পেরে রেললাইন ও বিদ্যুতে হাত দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
নন্দলাল জানান, শনিবার সকালে মেয়ে আমাকে ফোন করে বলে আমার বুক জ্বলতেছে। তখন আমি তাকে বলি তোর মাকে পাঠাচ্ছি। তারপর শুনলাম মেয়ে মারা গেছে। আমার মেয়ে নাকি নিজের গলায় নিজে বটি দিয়ে কেটে মারা গেছে।
স্থানীয়রা জানায় চঞ্চলারানীর সাথে শ্বশুড়, শাশুড়ি, দেবর, ননদসহ সবার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এ ঘটনায় সবাই মর্মাহত।