আশা জাগিয়েও দ্বি-শতকের দেখা পেলেন না মুশফিকুর রহিম। ১৭৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়তে হলো তাকে।
সঙ্গীর অভাবে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি উদযাপন করা হলো না মুশফিকের। ৩৬৫ রানে শেষ হলো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
মুশফিক ও এবাদত হোসেনের প্রতিরোধে ৯ উইকেটে ৩৬১ রানে মধ্যাহ্নভোজে যায় টাইগাররা। দ্বিতীয় সেশনে আর ৪ করতেই থামে স্বাগতিক দল। শেষ উইকেট হিসেবে রান-আউটের শিকার হন এবাদত(০)।
দিনের শুরু থেকে একাই লড়ে গেলেন মুশফিক। তার ৩৫৫ বলে ১৭৫ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ২১ চারে। ১১৫ রানে দিন শুরু করেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। টেস্টে পঞ্চমবারের মতো ১৫০ পেরোনো ইনিংসের দেখা পেলেন মুশি।
এর আগে দিনের শুরুতে লিটন দাস ফিরলেও লড়াই থামাননি মুশফিক। সেই লড়াই চলল শেষ পর্যন্ত। ৮৫ ওভারে ৫ উইকেটে ২৭৭ রানে প্রথম দিন পার করেছিল স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয় দিন স্কোরবোর্ডে আর ১৯ রান জমা পড়তেই সাজঘরে ফেরেন লিটন।
ইনিংসের ৯৩তম ওভার করতে আসা কাসুন রাজিথার প্রথম বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে বন্দী হন তিনি। ২৪৬ বলে ১৪১ রানে থামেন লিটন। তার ধ্রুপদি ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৬ চার ও ১ ছয়ে। টেস্টে লিটনের এটি সর্বোচ্চ স্কোরও। ১৩৫ রানে দিন শুরু করেন বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক।
২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড গড়া জুটি গড়েন মুশফিক-লিটন। ৫১৩ বলে ২৭২ রানের সেই জুটি ভাঙল দ্বিতীয় দিনে। টেস্টে যেকোনো উইকেটে যা বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি।
দিনের একই ওভারের চতুর্থ বলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে ডাক উপহার দেন রাজিথা। এ নিয়ে টাইগারদের বিপক্ষে চলমান সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন লঙ্কান পেসার। আগেরদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের টপ-অর্ডারকে তছনছ করে দিয়েছিলেন তিনি। শুরুতেই ৩ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের চাপে ফেলেন রাজিথা।
দ্বিতীয় দিনের পরের দুই উইকেট তাইজুল ইসলাম (১৫) ও খালেদ আহমেদকে (০) ফেরান আশিথা ফার্নান্দো। আগেরদিন দুই উইকেট পেয়েছিলেন লঙ্কান পেসার।