পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় দুই নর্ডিক অঞ্চলের দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। চলতি সপ্তাহে দুই দেশই ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। দেশ দুটিকে ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর এএফপির।
ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো ও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের আগে বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘আমি ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি।’
ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানে সবচেয়ে বড় বাধা তুরস্ক। পশ্চিমা সামরিক জোটে দেশ দুটি যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশের পর আপত্তি জানিয়ে আসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তবে ইউরোপের এই দুই দেশ মনে করছে, পশ্চিমা মিত্ররা তুরস্কের বাধা কাটিয়ে উঠবে।
এটা নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এর মধ্যেই তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভাসোগলুর সঙ্গে দেখা করেছেন। দুই মন্ত্রীর মুখোমুখি সাক্ষাতের ফলকে ‘খুবই ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে ওয়াশিংটন। তবে যুক্তরাষ্ট্রে চেষ্টায় জল ঢেলে দিয়েছেন খোদ এরদোয়ান। আজ টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, তুরস্ক নিজের মিত্রদের জানিয়ে দিয়েছে, তারা ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন প্রত্যাখ্যান করবে।
তবে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের জন্য সুখবর দিয়েছে পোল্যান্ড। আজ দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাতিউস মোরাভিয়েস্কি বলেন, ‘ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদান আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। এটা ইউরোপের নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করবে।’ তিনি আরও বলেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে আক্রমণ হলে পোল্যান্ড সাহায্যে এগিয়ে আসবে।
এদিকে রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনের মারিউপোলের আজভস্তল ইস্পাত কারখানায় অবরুদ্ধ থাকা ১ হাজার ৭৩০ জন ইউক্রেন সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন। তিন দিনে আত্মসমর্পণ করা ওই সেনাদের রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের শহরগুলোয় নেওয়া হয়েছে।