আগামীকাল শুক্রবার থেকে সারা দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হচ্ছে। মোট চারটি ধাপে এই কার্যক্রম চলবে। প্রথম ধাপে কাল থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ৬৪ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর হালনাগাদ কার্যক্রমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি জানায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল কাল সকাল ১০টায় সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এবার আগামী তিন বছরের মধ্যে যাঁরা ভোটার হওয়ার যোগ্য (১৮ বছর) হবেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সে হিসাবে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, এই হালনাগাদ কার্যক্রমে তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে যাঁদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৫ বা তার আগে তাঁদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আগামী বছরের ২ মার্চ প্রকাশ করা হবে।
আর যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৬ বা তার আগে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৪ সালের ২ মার্চ এবং যাদের জন্ম ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৫ সালের ২ মার্চ।
ইসি জানিয়েছে, যাঁদের জন্ম ২০০৫ সালের আগে, কিন্তু বিভিন্ন কারণে ভোটার হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি, তাঁরাও হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটার হতে পারবেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে মৃত ভোটারের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এ সময় ভোটার স্থানান্তরের আবেদনও করা যাবে।
নির্বাচন কমিশন নিয়োজিত তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), পিতা/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ইউটিলিটি (পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস) বিলের কপি প্রয়োজন হবে।
তথ্য সংগ্রহের পর নিবন্ধন কেন্দ্রে ভোটারদের নিবন্ধন করা হবে ধাপে ধাপে। উপজেলা পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ এবং সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় ওয়ার্ড পর্যায়ে নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করে ভোটারদের ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ গ্রহণ করে ভোটার নিবন্ধন করা হবে। এ সময় মূল তথ্যের প্রিন্ট কপি দেওয়া হবে ভোটারদের।
ইসি জানায়, রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে না পারে, সে জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩২টি বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ কমিটির মাধ্যমে নিবন্ধন ফরম যাচাই-বাছাই করা হবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক–সংবলিত ডেটাবেইজও ব্যবহার করা হবে।
দেশে এখন মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন, নারী ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন এবং হিজড়া ৪৫৪ জন।