নেত্রকোনায় রেলওয়ের সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রেনের ছাদে ওঠা এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রেলপথের ঠাকুরাকোনা ধনাইখালি নদীর ওপর রেলসেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরের নাম শাহরিয়ার স্বপ্ন (১৫)। সে নেত্রকোনা শহরের কুড়পাড় এলাকার বাসিন্দা বিজি বিসদস্য সোহাগ মিয়ার ছেলে। সে এবার নেত্রকোনা আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহরিয়ার তাঁর খালাসহ কয়েক স্বজনের সঙ্গে মোহনগঞ্জ থেকে মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনে করে নেত্রকোনায় ফিরছিল। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ট্রেনটি বারহাট্টা স্টেশনে বিরতি দেয়। তখন শাহরিয়ার কয়েক বন্ধু সঙ্গে ট্রেনের ছাদে ওঠে। পথে কানে হেডফোন দিয়ে ছাদে দাঁড়িয়ে গান শুনছিল। ট্রেন যখন ঠাকুরাকোনা ধনাইখালি নদীর ওপরে সেতুতে ওঠে, তখন সে ইঞ্জিনের বিপরীত দিকে ফিরে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় সঙ্গে থাকা সহপাঠী জাবির চৌধুরী উচ্চ স্বরে ডেকে তাকে বসতে বলে। কিন্তু কানে হেডফোন থাকায় সে তার কথা শুনতে পারেনি।
সঙ্গে সঙ্গে সেতুর ট্রাফটে ধাক্কা খেয়ে ছাদে পড়ে যায় শাহরিয়ার। এ সময় পাশে থাকা একজন আরোহী তাকে ধরে রাখে। পরে ট্রেন ঠাকুরাকোনা স্টেশনে পৌঁছালে স্বজন ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্কুলছাত্রের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে শাহরিয়ারের গ্রামের বাড়ি আটপাড়া উপজেলার দুওজ এলাকায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।