রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর একটি বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধারের পাশাপাশি এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বলা হচ্ছে, ওই যুবক ও তরুণী পূর্বপরিচিত। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামের যুবকের জননাঙ্গ কেটে দেওয়া হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের কোনাপাড়া এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, জাহাঙ্গীর যাত্রাবাড়ীর একটি পোশাক কারখানার কর্মী। কর্মক্ষেত্রে শাহীনা আক্তার (২৪) নামের ওই তরুণীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সূত্র ধরেই দুপুরে তাঁরা দুজন তাঁদের পরিচিত এক ব্যক্তির বাসায় যান।
সেখানেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহাঙ্গীরের জননাঙ্গ কেটে দেন শাহীনা। এ সময় জাহাঙ্গীর তাঁর গলা চেপে ধরে ধাক্কা দেন। এতে শাহীনার মাথা দেয়ালের সঙ্গে লাগে। মাথায় আঘাত পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। জাহাঙ্গীরের দাবি, বাসায় যাওয়ার পর একটি কক্ষে আটকে তাঁর জননাঙ্গ কেটে দেওয়া হয়।
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আয়ান মাহমুদ বলেন, ঘটনার পর জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার চলছে। আর শাহীনার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আয়ান মাহমুদ বলেন, জাহাঙ্গীর ও শাহীনা দুজনেই বিবাহিত। তাঁদের উভয়েরই স্বামী–স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সূত্রেই তৃতীয় এক ব্যক্তির বাসায় যান তাঁরা। সেখানেই এ ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, সেটি প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। শাহীনা তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন নাকি পরিকল্পনা করে ঘটিয়েছেন, সেটি জানা যায়নি।