কথা ছিল এক তোড়া কাঠগোলাপ আপনার হাতের উষ্ণতা নিয়ে আমার হাত ছোঁয়াবে।
কথা ছিল ঐ দূরে, যেখানে পাহাড়ের অনিন্দ্য রূপে জুড়ায় দু’নয়ন,
সবুজের কোল ঘেঁসে অবিরাম ঝরে পড়ে ঝর্ণার জল,
এঁকেবেঁকে বয়ে চলা শুভ্র নদীর মুগ্ধতা মেশানো দৃশ্য দুজনে উপভোগ করব।
কথা ছিল শ্রাবণ সন্ধ্যায় দেরিতে ফেরার অভিমানে বেলকনির এক কোণায় যখন পাশ ফিরে রবো,
হঠাৎই নাকে আসবে যখন দোলনচাঁপার ঘ্রাণ, চমকে উঠে খোঁপায় হাত বুলিয়ে পাব একমুঠো ভালোবাসার প্রমাণ।
কথা ছিল তারাখচিত আকাশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বসে যাব দুজনে তারা গণনার এক ছেলেমানুষি প্রতিযোগিতায়।
কথা ছিল আপনার চোখের কার্নিশে লুকানো জলের একান্ত সঙ্গী হবো।
কথা ছিল আপনার বুক পকেটে জমানো খুচরো সব বিষাদ আমি আঁচল পেতে নেবো।
কথা ছিল আপনার মন খারাপের ক্ষণে শিউলী আঁকা সেই সবুজ শাড়িটা পরে আপনার ঠোঁটে হাসি ফোটাব।
কথা ছিল আমার দীঘল চুলে লম্বা বিনুনিতে জড়াবো সাদা বেলী,
ভালো না লাগার বাহানায় বিনুনি খুলে আনাড়ি হাতে এলোখোপা করে গুঁজে দিবেন রক্তাক্ত গোলাপ।
অতঃপর-
কথাগুলো শুধু স্মৃতিতেই অমলিন হয়ে রইলো।
ক্ষণিকের ব্যবধানে হৃদয়ের সাইক্লোনে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে একগুচ্ছ সাজানো স্বপ্ন।
|| কথারা কথা রাখেনি ||
~মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।