ঢাকাসহ ১১ অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ে আভাস রয়েছে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দগুলোকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ায় যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্ৰবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এই অবস্থায় রোববার (১ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কি. মি, যা অস্থায়ীভাবে পশ্চিম/দক্ষিণপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কি.মি. পর্যন্ত ওঠে যেতে পারে।
সোমবার নাগাদ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
শনিবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেট ও রাজশাহীতে, ৩৮ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইদীকোর্ট, ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।