কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে নগর এলাকার স্কুল, কলেজ, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনয়ন ও পক্ষপাতমূলক আচরণ পরিহারের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি উইং শাখার পরিচালক (পরিচালনা) শাহেদুন্নবী চৌধুরী প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আগামী ১৫ জুন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ইভিএমে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের জন্য এই নির্বাচনকে প্রথম পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ মে পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও ছুটির দিনসহ) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর নগরের ছোটরা এলাকার আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন ভবন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। তবে গত দুই দিনে কোনো মনোনয়ন ফরম নেননি কোনো প্রার্থী ও তাঁদের প্রতিনিধিরা। এবার অনলাইনে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি।
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় কর্মরত কোনো ব্যক্তিকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা করা হবে না। এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত। গণবিজ্ঞপ্তি জারি করার পর এখন পর্যন্ত কেউ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। সরাসরি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ছিলাম। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাও ছিলাম। এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকেই জানা আছে। কুমিল্লাবাসীকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে কমিশন। প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা আচরণ বিধি মেনেই নির্বাচনী প্রচারণা, সভা–সমাবেশ করবেন। কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩২ হাজার ৬৩০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ১৪২ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৮৮ জন। ১০ হাজারের ওপর করে ভোটার আছে সিটি করপোরেশন এলাকার ৩, ১০, ১৩, ১৭, ১৮, ২১ ও ২২ ওয়ার্ডে। সবচেয়ে কম ভোটার নগরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে, চার হাজার ১০৫ জন।