বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনের আগে দীর্ঘ সময়ের জন্য জাতীয় সরকার হলে তো ভোটেরই দরকার নেই। সেজন্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করা হবে। আর সেই নিরপেক্ষ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে একটি (নির্বাচনকালীন) নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সে নিরপেক্ষ সরকার শুধু নিরপেক্ষভাবে ভোটটা করে দিয়ে যাবে। যার মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে এবং নিজেদের পছন্দমতো সরকার গঠন করতে পারবে। ‘জাতীয় সরকারের’ ফর্মুলা ও প্রস্তাবের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, জাতীয় সরকারের আগে প্রয়োজন একটি নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে প্রয়োজন বর্তমান সরকারের পতন। সরকার পতনের আন্দোলনে দরকার বিরোধী মতের সব রাজনৈতিক দল ও মহলের মধ্যকার জাতীয় ঐক্য। আর সেই ঐক্য ইতোমধ্যেই আমাদের হয়ে গেছে। এখন শুধু কর্মসূচির বাস্তবায়ন বাকি। ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনে আপনারা জয়ী না হলে কী করবেন?’ এ প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে- সে নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী। কারণ জনগণই সেটা চাচ্ছে। তারা আর এক মুহূর্তের জন্য এই স্বৈরশাহীকে ক্ষমতায় দেখতে চাচ্ছে না। কারণ দিনের ভোট রাতে চুরি করে ক্ষমতায় আসা এ সরকার জোর করে মানুষের ঘাড়ে চেপে বসে আছে। এ কথা সর্বজনবিদিত। এদের বিদায় করেই মানুষের ভোটের অধিকার ও দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।
নির্বাচনকালীন সরকারের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, এটি হবে একটি নিরপেক্ষ সরকার। সে সরকার শুধু একটি নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করবে। তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। শুধু দৈনন্দিন কাজকর্মগুলো সম্পাদন করবে। এ প্রসঙ্গে তিনি নব্বইয়ের দশকে- এরশাদ সরকারের পতনের পর বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদাহরণ দেন। সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এই বর্তমান সরকার পতনের আন্দোলনে অংশ নেবেন, তারা নির্বাচনে পাস করুক বা না-ই করুক- তারা সবাই জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় সরকারে অন্তর্ভুক্ত হবেন।