কোন মেঘ থেকে বৃষ্টি হবে কিনা, তা কি সেই মেঘের আকৃতি দেখে কিছুটা আন্দাজ করা যায়?
আমাদের দেশে সাধারণত বর্ষাকালেই বেশি বৃষ্টি হয়। সারা বছরে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ আমরা পেয়ে থাকি বর্ষাকালেই। এই সময়ে যে বৃষ্টিপাত হয়, তা বিশাল পুঞ্জ- মেঘ, বজ্র-মেঘ, মধ্যস্তর-মেঘ আর নিম্বোস্ট্যাটাস মেঘ থেকেই সাধারণত হয়ে থাকে। সুতরাং যদি আকাশে ঘন কালো মেঘের আধিক্য দেখা যায় বা ঘন কালো মেঘস্তর থাকে, তাহলে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, বুঝতে হবে।
আবার এই সময় যদি পূর্ব দিক থেকে হাওয়া বয়, তবে বাইস-ব্যালট সূত্র প্রয়োগ করে বোঝা যায়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ক্ষেত্র রয়েছে। এমন অবস্থায় বেশ জোরের সঙ্গে বলা চলে, বৃষ্টি হবেই।
আবার যখন বর্ষাকাল নয়, তখন যে বৃষ্টি হয় না, তা নয়। তখন আকাশে খুব একটা মেঘের প্রাদুর্ভাব দেখা যায় না। এমন ক্ষেত্রে বৃষ্টিপাত হয় সন্ধ্যার দিকে বজ্র মেঘের বর্ষণ থেকে।
এই বজ্র-মেঘগুলোর উৎপত্তি স্থল হল বিহারের মালভূমি অঞ্চল – রাচি, হাজারিবাগের চারপাশে। ঐ জায়গায় মেঘগুলি তৈরি হয়ে ক্রমশ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে, অর্থাৎ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম জেলাগুলোর দিকে এগোয়। সুতরাং এসব জায়গায় বজ্র-মেঘগুলো সাধারণ উত্তর-পশ্চিম দিক থেকেই হানা দেয়।
তাই যদি বিকেলের দিকে বা সন্ধ্যার সময়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিমে কোনো মেঘ দেখা যায়, তাহলে দিগন্তের কোলের ক্ষুদ্র মেঘটি কিছুক্ষণ পরেই ঝড়ের তান্ডবলীলা শুরু করতে পারে।
মধ্য পুঞ্জ-মেঘ, উচ্চ-পুঞ্জ মেঘ, উচ্চ স্তর-মেঘ ও সাধারণ স্তর মেঘ বৃষ্টি দেয় না। এক আধ সময়, এই সব মেঘ থেকে অবশ্য ইলশে গুঁড়ির মত বৃষ্টি হয়ে থাকে।
তথ্য সংগ্রহেঃ মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।