হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানোর অপরাধে চালকদের জরিমানার টাকা নিজের মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের পুলিশ সার্জেন্ট পিযুশের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। রাণীশংকৈল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল রাতে ২০ জন ভুক্তভোগী রাণীশংকৈল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতেই পুলিশ সার্জেন্ট পিযুশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে সোমবার (১৮ এপ্রিল) জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, উপজেলায় গত এক মাস ধরে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট ব্যবহার না করাসহ বিভিন্ন অপরাধে নিয়মিত জরিমানা করে আসছেন সার্জেন্ট পিযুশ। কিন্তু সেই জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে তিনি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘উপায়’-এর একজন এজেন্টের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে জমা করে নিচ্ছেন।
রাণীশংকৈল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ট্রাফিক সার্জেন্ট পিযুশের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
যে এজেন্টের মাধ্যমে তিনি নিজের মোবাইল অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতেন, সিরাজুল নামে সেই এজেন্ট জানান, তিনি ট্রাফিক সার্জেন্টের নির্দেশেই তার মোবাইলে টাকা জমা করতেন। তবে এজেন্ট নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘রাণীশংকৈলের সার্কেল এসপি বিষয়টি তদন্ত করছেন। আমরা জেলায় হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালনার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু তিনি এই উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তাই তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’