দেশে চলতি এপ্রিল মাসে দুই থেকে তিনটি মৃদু বা মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে সামান্য বেশি থাকবে। তবে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। আজ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এপ্রিল ২০২২-এর দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ মাসে এক থেকে দুটি নিম্নচাপও সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেই সঙ্গে আছে কালবৈশাখীর আশঙ্কা।
আজই অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির সভা হয়। পরে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এপ্রিল মাস এমনিতেই কিছুটা উত্তপ্ত থাকে। এ সময় মৃদু ও মাঝারি, আবার কখনো উচ্চ তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এবার এ মাসে দুই থেকে তিনটি মৃদু বা মাঝারি তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।
তাপমাত্রা যখন ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে তখন তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। আবার ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়।আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন বজ্র, শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী হতে পারে। দেশের অন্যত্র তিন থেকে পাঁচ দিন বজ্র, শিলাবৃষ্টিসহ হালকা, মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাংশে সূর্যের কিরণ লম্বভাবে পড়ে। এখানে এ মাসে বাতাস অপেক্ষাকৃত বেশি উত্তপ্ত থাকে। উত্তাপ থেকে বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়। এর ফলে সৃষ্ট ঝড়কে কালবৈশাখী বলা হয়। এটি স্থানীয়ভাবে সৃষ্ট হতে পারে আবার আন্তসীমান্তও হতে পারে।এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এপ্রিলে দেশের কয়েকটি স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলেও এ মাসের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।দেশের আট বিভাগের মধ্যে এ মাসে সিলেট বিভাগে সর্বোচ্চ ২৬৫ থেকে ৩২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় রাজশাহীতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হবে সবচেয়ে কম, ৭৫ থেকে ৯০ মিলিমিটার।