শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শরীয়তপুর-২ আসনের সাবেক এমপি শরীয়তপুরের বরেণ্য রাজনীতিবীদ আধ্যাপক ডা: কে এ জলিল মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওইয়ান্না ইলাইহি রাজিউন।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর গ্রিন রোডের নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। দীর্ঘ দিন তিনি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
রোববার বাদ যোহর তার নিজ এলাকা শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
তার স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
ডা: কে এ জলিলের মৃত্যুতে শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কিরণ, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার একে এম নাসির উদ্দিন কালুসহ শরীয়তপুর জেলা ও উপজেলা বিএনপি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার রুহের মাগফেরাত কামনা গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ।
আধ্যাপক ডা: কে এ জলিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডেন্টাল বিভাগের অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে এসে শরীয়তপুর-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি শরীয়তপুর জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন সফল চিকিৎসক ও শিক্ষানুরাগী ছিলেন। তিনি নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর উপসী মহাবিদ্যালয় ও ত্রিপল্লী ডা: কে এ জলিল উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনেক দান করেছেন।
মরহুমের জানাজা পূর্ব আলোচনায় শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার একে এম নাসির উদ্দিন কালু, জপসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মাদবর, ভোজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিকদার ও বিঝারি ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ আলী কাজী, ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল শিউলি বক্তব্য রাখেন।