ভলিবল খেলাকে কেন্দ্র করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ক্যাম্পাসে।
মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ আন্তঃবিভাগ ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। বিকেলে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ও মার্কেটিং বিভাগের খেলা চলা অবস্থায় স্লেজিংকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এ সময় খেলা পরিচালনা কমিটি ও প্রক্টরিয়াল বডি পরিস্থিতি শান্ত করেন। এরপর ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা সুব্রত, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাজ ধাওয়া দেয় ছাত্রলীগ নেতা ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মামুনসহ কয়েকজনকে। এ সময় তারা পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এর কিছুক্ষণ পর ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মেসবাহুল সরকার জয় বঙ্গবন্ধু হলের সামনে দিয়ে মুখতার ইলাহী হলে যাওয়ার সময় রাজসহ আরও কয়েকজন তার ওপর হামলা করে৷ এতে সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সহয়তায় অচেতন অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে সুব্রত বলেন, খেলার ঘটনার পর হলে আসলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করার জন্য বঙ্গবন্ধু হলে আসে জয়। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা প্রতিরোধ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক ইজার আহমেদ বলেন, দুই বিভাগের খেলা চলাকালে স্লেজিংকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুব্রত ও রাজ মামুনকে ধাওয়া দিলে আমরা তাকে হেফাজতে নিই। এর কিছুক্ষণ পর হলের সামনে ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে অচেতন অবস্থায় পাই। পরে তাকে মেডিকেলে পাঠানো হয়। ক্যাম্পাস এখন শান্ত আছে।
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ও অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইতিহাস ও মার্কেটিং বিভাগের খেলার শেষ দিকে মাঠের বাইরে দর্শক গ্যালারিতে স্লেজিং করাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা শুরু হয়। পরে মারামারি পর্যায়ে গেলে আজকের খেলা স্থগিত করা হয়। পরের খেলাগুলো হবে কিনা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ব্যাপারে খেলা পরিচালনা কমিটি সিদ্ধান্ত নিলে পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর আনোয়ারুল আজিম বলেন, খেলাকে কেন্দ্র করে মাঠের বাইরে উত্তেজনা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় হলের সামনে একজন ছাত্রকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। আমরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। ক্যাম্পাসের পরিবেশ এখন শান্ত আছে।