মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতিকে হত্যার পেছনে যারা আছে, তাদের খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টিপু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। এর পেছনে কারা, নাটের গুরু কারা, কারা ঘটিয়েছে, সবকিছু খোলসা করে আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে দেশবাসীকে জানানো হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে শাহজাহানপুরে সড়কে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা টিপুকে। হামলাকারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে প্রাণ হারান বদরুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী প্রীতি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিলিং পলিটিক্যাল কি না, সেই বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে চাই না। আশা করি, খুব শিগগির এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারব। যারাই এ ঘটনায় জড়িত থাকুক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এর আগে শুক্রবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা রয়েছেন তা খুঁজে বের করা হবে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নারী কাউন্সিলর ফারজানা ইসলাম ডলি এই ঘটনায় যে হত্যা মামলা করেছেন, তাতে আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে রাজনৈতিক ‘কোন্দলের’ কথা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন টিপুর স্ত্রী ।
প্রায় এক দশক আগে টিপু যখন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, তখন যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কী হত্যা মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।