পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোনো ধরনের চাপে নয়, মানবিক কারণে জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
ইউক্রেনে সৃষ্ট মানবিক সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রশ্নে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রস্তাবটি ১৪০ ভোটে পাস হয়। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে পরিষদের জরুরি অধিবেশনে এ ভোটাভুটি হয়। আজ শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে এসব ব্যাপারে জানতে চান সাংবাদিকেরা।
জবাবে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমি কালকেও বলেছি, বঙ্গবন্ধু চাপের মুখে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যাও চাপের মুখে কোনো সিদ্ধান্ত নেন না। আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণটি হচ্ছে, আমরা শান্তিপূর্ণ দেশ। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আমরা এক নম্বরে রয়েছি। বিশ্বে টেকসই শান্তির জন্য আমরা একটি প্রস্তাব দিয়েছি, যা বিশ্বের ১৯৩ দেশ গ্রহণ করেছে। শান্তির সংস্কৃতি নামে ওই প্রস্তাবের মাধ্যমে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এর উদ্দেশ্য দেশে দেশে মারামারি, কাটাকাটি, সন্ত্রাস বন্ধ করা। পৃথিবীতে শান্তির ক্ষেত্রে আমরা লিডার।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইউক্রেনে লোকজন নির্যাতিত হচ্ছেন, কষ্ট করছেন। তাঁদের জন্য যথাসময়ে খাবার এবং ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, প্রয়োজন হলে তাঁদের বের হওয়ার জন্য করিডর তৈরির মতো একাধিক বিষয় এবং বিশেষ করে যুদ্ধ বন্ধের জন্য ভোট দিয়েছি।’ইউক্রেনের বর্তমান মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে আনেন আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যেমন ঘরবাড়ি ছেড়েছিলাম, এখন ইউক্রেনের সাধারণ মানুষও জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছাড়ছেন। তাই আমরা মানবিক কারণে জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছি।’অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন ইস্যুতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রভাব পড়বে না। আশা করি, যুদ্ধ শেষ হবে। আমরাও পরিস্থিতি সামলে নেব।’