বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষীয়ান অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ ২০২০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন। আজ তার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হবে। এদিকে অভিনয়ে এখন অনিয়মিত হলেও তার আগের করা কাজগুলো প্রকাশ হচ্ছে মাঝে মধ্যেই। অভিনয়, জীবনযাপন ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
- আজ আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন। কেমন লাগছে?
** চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য রাষ্ট্রীয় এ সম্মাননাপ্রাপ্তির বিষয়টি বেশ আনন্দের। আমি বিদেশে থাকার সময় এ খবরটি শুনতে পাই। জীবনের এ পর্যায়ে এসে এ ধরনের খবর ভালো অনুভূতি তৈরি করে মনে। তবে সম্মাননা কিংবা পুরস্কার পাওয়ার জন্য তো কাজ করি না। অভিনয়ে এসেছিলাম একান্তই ভালোলাগা থেকে। যতদিন আগ্রহ ছিল ততদিনই নিয়মিত অভিনয় করেছি।
- এখন আপনাকে অভিনয়ে সেভাবে দেখা যায় না কেন?
** আমি করোনাকাল শুরু হওয়ার আগে থেকেই অভিনয় বন্ধ করেছি। বর্তমান সময়ের কাজ আমাকে টানে না। এখন আর অভিনয়ে আগ্রহ নেই। আমার কাছে যেসব কাজের প্রস্তাব আসে তাতে অভিনয় করার মতো উৎসাহ পাই না। কতদিন এভাবে কাটাব তাও জানা নেই। ঘরেই বেশিরভাগ সময় বসে থাকি। নিজের মতো করে সময় কাটাই। সময় কেটে যায়।
- এ অখণ্ড অবসর কীভাবে অতিক্রম করছেন?
** বই পড়া, টিভি দেখা এবং অল্প কিছু মানুষের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেই দিন কেটে যাচ্ছে। ঘরবন্দি জীবনের শুরুর দিকে কিছুটা সমস্যা মনে হলেও এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। তবে ছয় মাস পরপর আমেরিকায় যাই। সেখানে এক-দুই মাস থাকার পর আবার দেশে চলে আসি।
- আপনার অভিনীত ‘অপারেশন সুন্দরবন’ নামের একটি সিনেমাও তো মুক্তির অপেক্ষায় আছে…
** এতে আমি একটি ছোট্ট দৈর্ঘ্যরে চরিত্রে অভিনয় করেছি। শুনেছি সিনেমাটি নাকি ভালোভাবেই নির্মিত হয়েছে। এটি মুক্তি পেলে আমার দেখার ইচ্ছা আছে।