ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সমর্থনে অস্ত্র-গোলাবারুদ পাঠাবে না চীন। তবে এ সংকট সমাধানে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাবে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত কিন গ্যাং এ কথা বলেছেন। আজ সোমবার বিবিসি এ কথা জানিয়েছে।বেইজিং মস্কোকে সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করলে ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এমন মন্তব্য করলেন।
মস্কোকে অস্ত্র সহায়তা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘গুজব’ বলে গত সপ্তাহে নাকচ করে দেয় বেইজিং। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানাতে অনীহা দেখিয়ে আসছে চীন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসকে কিন গ্যাং বলেন, পশ্চিমের এ প্রকাশ্যে নিন্দা জানানো কোনো কাজে আসবে না। এ জন্য প্রয়োজন ‘ভালো কূটনীতি’।ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়াকে অর্থ-অস্ত্র দিয়ে সহায়তার বিষয়ে চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। বেইজিং বরাবরই বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। মস্কোও বলছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান সম্পন্ন করতে তাদের পর্যাপ্ত সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে। এ জন্য কোনো অস্ত্র সহায়তার প্রয়োজন নেই।
এ ছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান নিতে চীনের ওপর চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কাজে লাগাতে তারা চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে বেইজিং যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও মস্কোর নিন্দা জানানো থেকে বিরত রয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মস্কোর নিন্দা জানিয়ে আনা প্রস্তাবেও ভোটদানে বিরত ছিল চীন।এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে চীনের অবস্থান বাস্তবসম্মত ও ন্যায়সংগত বলে মন্তব্য করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, সংকটময় এ পরিস্থিতিতে চীন যে ইতিহাসের সঠিক পক্ষে আছে, তা সময়ই বলে দেবে।
সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত শুক্রবার প্রায় দুই ঘণ্টা ভিডিও কলে বৈঠক করেন। ওই বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গত শনিবার এসব কথা বলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশির ভাগ দেশ কিয়েভের পক্ষে দাঁড়ায়। তবে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি মিত্র চীন। যুদ্ধ বন্ধে সংলাপের ওপর জোর দিয়ে আসছে বেইজিং।