বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ও শর্ত শিথিলের বিষয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন পরিবারের সদস্যরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হবে।আজ বুধবার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের আবেদনটি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ৩ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হবে।আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, ‘আবেদনে সাজা মওকুফ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শর্ত শিথিল করারও আবেদন করা হয়েছে। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত জানাব।’ সেদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার জননী। আমরা আশা করছি, তিনি বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নেবেন।’১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার এ–সংক্রান্ত আবেদন করেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমে ছয় মাসের জন্য শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। পরে গত সেপ্টেম্বরে তাঁর মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়। মুক্তিতে থাকার সময় খালেদা জিয়া নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন; এ সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলে শর্ত দেওয়া হয়।দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’-এর ধারা-৪০১ (১)-এ দেওয়া ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ে। এখন সেই মুক্তির মেয়াদও ২৫ মার্চ শেষ হচ্ছে। এ জন্য ১ মার্চ সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।