পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দশম লিবারেশন ডকফেস্ট। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত এ আয়োজনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী উৎসব পূর্ণ ছিল তরুণ প্রজন্মের উচ্ছ্বাসে। যেখানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র নির্মাতারা উপস্থিত ছিলেন অনলাইন ও অফলাইন মাধ্যমে। প্রধান অতিথি চিত্রগ্রাহক আফজাল চৌধুরী এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন এবং বর্তমান চলচ্চিত্র সংস্কৃতি নিয়ে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন।এবারের প্রামাণ্যচিত্র উৎসবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনূর্ধ্ব এক ঘণ্টার প্রামাণ্যচিত্রের প্রতিযোগিতা হয়, যা তিনটি বিভাগে নির্মাতাদের পুরস্কৃত করা হয়। এবারের উৎসবে আন্তর্জাতিক বিভাগে সেরা প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে ‘রুম উইদাউট আ ভিউ’। এ বিভাগে বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতাকে ১০০০ ডলার পুরস্কার দেওয়া হয়। এরপর জাতীয় পর্যায়ের দুটি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। জাতীয় পর্যায়ের দুটি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে ‘বিচ্ছেদ’ ও ‘হেয়ার ইজ নো ওয়ান’।
এবারের উৎসবে ১৯৬টি দেশ থেকে প্রায় ২২০০টি প্রামাণ্যচিত্র সংগ্রহ করা হয়, যার মধ্য থেকে ৪০টি দেশের ১৪০টি প্রামাণ্যচিত্র এই উৎসবে প্রদর্শিত হয়। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রপ্রেমীরা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মিলনায়তনে সশরীর চলচ্চিত্র উপভোগ করতে পেরেছেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা বা এই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ছাড়াও এই উৎসবে ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানোর মূল উদ্দেশ্যই ছিল তরুণ প্রজন্মের কাছে এই মুক্তি ও মানবাধিকারবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্রগুলো তুলে ধরা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির পাশাপাশি বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। আরও বক্তৃতা দেন সারওয়ার আলী, মুফিদুল হক এবং উৎসব পরিচালক তারেক আহমেদ। বক্তব্যে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং প্রামাণ্যচিত্র উৎসবের সূচনালগ্নের মুহূর্তগুলোর স্মৃতিচারণা করেন। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও তার প্রদর্শনীকে উৎসাহ দিতে এই উৎসবের সূচনা। গত দুই বছর অনলাইনে এই উৎসব পালনের পর এবারই অফলাইনে ডকফেস্টের আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ফিল্ম সেকশনের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ডকফেস্টে প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলোর মূল বক্তব্য যেন সব তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যায়—এ আশা ব্যক্ত করেন অতিথিরা।