গাজীপুরের টঙ্গীতে ফারাজ আয়াজ হোসেন ভবনে (এফএএইচবি) ওষুধ প্রস্তুতের সুবিধার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (ইউএস এফডিএ) অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ওষুধ কোম্পানি এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ।
এফডিএর পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য প্রিগাবালিন ক্যাপসুলের তথ্য জমা দেয় এসকেএফ। ২৫, ৫০, ৭৫, ১০০, ১৫০, ২০০, ২২৫, ৩০০ মি.গ্রা. প্রিগাবালিন ক্যাপসুলের তথ্য জমা দেওয়া হয়। এফডিএর অনুমোদন পাওয়ার পরে এসকেএফ প্রিগাবালিনসহ অন্য ওষুধের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করতে পারবে।
প্রিগাবালিন স্নায়ুরোগের ওষুধ। স্নায়ুজনিত ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্যও এই ওষুধ ব্যবহৃত হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই এসকেএফ এই ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবে।যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ, ইইউ এর জিএমপি, যুক্তরাজ্যের ভিএমডি, ব্রাজিলের এএনভিআইএসএ ও অস্ট্রেলিয়ার টিজিএর মতো বিশ্বের নামকরা ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে এসকেএফের ওষুধ। এফডিএর অনুমোদন এসকেএফের আরেকটি গৌরবময় স্বীকৃতি।
এফডিএর অনুমোদনের পর ট্রান্সকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান এক বিবৃতিতে জানান, ‘মাননিয়ন্ত্রণে অবিচল থাকায় মানবতার সেবায় এসকেএফ সব সময় অগ্রদূতের ভূমিকায় থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএর কাছ থেকে পাওয়া স্বীকৃতি বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্বের কাছে আমাদের পণ্যের গুণগত মানকে সুদৃঢ় করেছে।’
সিমিন রহমান আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তটি অত্যন্ত গৌরবের। এফডিএর অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই অনুমোদন রোগীদের প্রয়োজন মেটাতে জটিল ওষুধ প্রস্তুতে আরও বেশি মনোনিবেশ করতে আমাদের উৎসাহ দেবে। আমি বিশ্বাস করি এসকেএফের দক্ষ কর্মীরা অন্যদের থেকে আমাদের আলাদা অবস্থান তৈরি করবে।’
মহামারিকালে বিশ্বে প্রথম জেনেরিক রেমডেসিভির ব্র্যান্ডের রেমিভির ও বিশ্বে প্রথম জেনেরিক মলনুপিরাভির ব্র্যান্ডের মনুভির ওষুধ প্রস্তুত করেছে ও বাজারে এনেছে এসকেএফ। করোনা চিকিৎসায় নির্মাট্রেলভির ও রিটোনাভির ট্যাবলেটের সংমিশ্রণে ‘প্যাক্সোভির’ওষুধটি বাজারে এনেছে এসকেএফ।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়িক নৈতিকতার প্রতীক প্রয়াত লতিফুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত ট্রান্সকম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান হলো এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস। ৩২ বছর ধরে ওষুধ প্রস্তুত করছে এসকেএফ। বিশ্বের ছয়টি মহাদেশের ৬৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে এসকেএফ।