মাইগ্রেন,আজকালকার দিনে প্রায় বেশিরভাগ মানুষের একটি অতি পরিচিত সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।অনেক সময় এর ভুক্তভুগীরা সাধারণ মাথাব্যাথা আর মাইগ্রেন এর মাথাব্যাথার মধ্যে পার্থক্য করে উঠতে পারেন না।মাইগ্রেন পুরুষের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা দেয়। সাধারণত ১০ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে এ রোগ দেখা যায়।মাইগ্রেনে মাথার যেকোনো এক দিক থেকে ব্যাথা শুরু হয়,আগে থেকে টের পাওয়া যায় না। এ রোগে আক্রান্ত রোগী আলো,নির্দিষ্ট কোনো গন্ধ, উচ্চশব্দ সহ্য করতে পারে না।
মাইগ্রেনে থাকলে যা যা করা উচিত এবং যা যা করা উচিত নয়:
১.মাইগ্রেন এর ব্যাথা থাকলে রোগীর নিজে নিজে ঔষুধ খাওয়া উচিত না।তবে ডাক্তারেরা মাইগ্রেনের জন্য সাধারণত পেইনকিলার খেতে বলেন।মাথাব্যাথা কম না বেশি তার উপর ভিত্তি করে অনেক সময় চিকিৎসকেরা ভিন্নভিন্ন ঔষুধ খেতে পরামর্শ দেন।
২.অধিক পরিমানে চা,কফি পান থেকে বিরত থাকতে হবে।মাইগ্রেন আছে এমন ব্যাক্তির কফি পরিমিত পান করা উচিত।চা,কফিতে থাকে ক্যাফেইন।কফিতে অধিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে।অতিরিক্ত ক্যাফেইন মাথা ব্যাথা কমার বদলে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩.উচ্চ শব্দ এবং কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না
৪.একেবারে কম বা অতিরিক্ত আলোতে থাকা যাবে না।আলোর তীব্রতা কম বেশি হওয়ার কারণে অনেক সময় ব্যাথা শুরু হয়।
৫. এ রোগ উপশমে আদা কুচি,সূর্যমুখী তেল অত্যন্ত কার্যকর।
৬.কম্পিউটার বা মোবাইল এর স্ক্রীন সামনে বেশিক্ষন থাকা যাবে না।
৬.ঘুম কম হওয়ার কারণে অনেক সময় মাইগ্রেনের ব্যাথা দেখা দেয়।তাই পরিমিত ঘুমাতে হবে।
৭.যেসকল খাবার খেলে ব্যাথা বেড়ে যায় সেই সকল খাবার বর্জন করতে হবে।যেমন:চকলেট, পেঁয়াজ, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি।
আজ পর্যন্ত এমন কোনো ঔষুধ আবিষ্কৃত হয় নি,যার দ্বারা একেবারে এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।তবে কিছুটা নিয়মকানুন মেনে চললে মাইগ্রেনের ব্যাথা থেকে উপশম পাওয়া যায় ।