পরিস্থিতির করোনার কারণে বন্ধ থাকা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বুধবার খুলেছে এবং সশরীরে ক্লাস হচ্ছে।
দেশের প্রায় সব জায়গা থেকে পাওয়া তথ্যে অনুযায়ী জানা যায়, প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর সবরকম প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে সকালে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে। সকল শিক্ষকেরা প্রায় অংশ নিচ্ছেন নিয়মিত ক্লাসে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে করোনা সতর্কতা বিধি মানার খবরও পাওয়া গেছে। এর আগের মাস্কের ব্যবহার, শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় ও হ্যান্ড স্যানেটাইজারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করণেরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ক্লাসের সঙ্গে পরীক্ষাও পিছিয়ে যায় বা বাতিল করতে হয়। ১৮ মাস পর গত বছর সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
এ ছুটি শেষে ২২ ফেব্রুয়ারি আবারও প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। তবে প্রায় সব প্রাথমিকের ছুটি গতকাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো প্রায় সব প্রথমে ১ মার্চ খোলার ঘোষণা দেওয়া হলেও সেদিন পবিত্র শবে মেরাজ হওয়ায় তা একদিন পিছিয়ে প্রায় সব আজ খোলা হয় বুধবার।
প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ক্লাস হবে প্রায় সব প্রতিদিন (সপ্তাহে ছয় দিন)। তবে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে প্রায় সব আসা আপাতত বন্ধই থাকবে।
এ ব্যাপারে প্রায় সব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল হক বলেন, অন্তত আরও দুই সপ্তাহ করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের প্রায় সব শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আনা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রায় সব বিদ্যালয় দুই পালায় পরিচালিত হবে। তবে কোনো সমাবেশ হবে না। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া প্রায় সব অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে আসা নিরুৎসাহিত করতে হবে। টিকা দেওয়া ছাড়া কোনো প্রায় সব শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারবেন না।