ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির ৪০ সেনাসদস্য ও অন্তত ১০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রশাসনিক সহকারী ওলেকসি আরেস্টোভিচ। খবর এএফপির
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে রুশ সামরিক বাহিনী। রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির একাধিক স্থানে বিস্ফোরণ হয়েছে। পাল্টা আঘাত হানার দাবি করেছে ইউক্রেনও। রাশিয়ার ছয়টি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি।সাংবাদিকদের ওলেকসি আরেস্টোভিচ বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি ৪০ জনের বেশি নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। প্রায় ১০ জন বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর বিষয়টিও অবগত আছি।’এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দেশটির শাচিসতিয়া শহরে হামলা করে। হামলা প্রতিহত করার সময় প্রায় ৫০ জন ‘দখলদার রুশ’ নিহত হয়েছেন। শাচিসতিয়া এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণে আছে বলে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান।
২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।
বৃহস্পতিবার পুতিনের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর রুশ পদাতিক বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনে ঢুকছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ট্যাংকসহ ভারী সামরিক যান নিয়ে উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকে রাশিয়ার সেনারা হামলা করছেন বলেও দাবি করা হচ্ছে। প্রাণভয়ে কিয়েভের বাসিন্দারা হন্যে হয়ে আশ্রয় খুঁজছেন।পুতিনের নির্দেশে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্বনেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। ইউক্রেনে সামরিক শাসন জারির আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ হামলার আশঙ্কায় গতকাল বুধবার দেশটিতে এক মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।