রাশিয়ার স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার কিছু আগে টেলিভিশনের পর্দায় হাজির হন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ঘোষণা দেন, ‘আমি সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণার আগে রাশিয়ার মিত্রদেশ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোকে ফোন করেছিলেন পুতিন। লুকাশেঙ্কোর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
লুকাশেঙ্কোর কার্যালয় জানায়, আজ ভোরে বেলারুশের নেতাকে ফোন করেছিলেন পুতিন। তিনি ফোনে লুকাশেঙ্কোকে জানান, মস্কো ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে।২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটার দিকে বেলারুশ ও রুশ প্রেসিডেন্টের মধ্যে ফোনালাপ হয় বলে নিশ্চিত করেছে লুকাশেঙ্কোর কার্যালয়।ফোনালাপে লুকাশেঙ্কোকে ইউক্রেন সীমান্ত ও পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী–নিয়ন্ত্রিত দনবাস অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন পুতিন।
লুকাশেঙ্কোকে পুতিনের ফোন করার বিষয়ে ক্রেমলিন থেকে অবশ্য কিছু বলা হয়নি।ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণায় পুতিন বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় অবিলম্বে আমাদের এমন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন পড়েছে। পূর্ব ইউক্রেনের দনবাসের স্বাধীন দুটি প্রজাতন্ত্র আমাদের কাছে সাহায্য চেয়ে অনুরোধ করেছে। জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায়ের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আমি সেখানে একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’পুতিনের ঘোষণার পরপরই ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হয়ে যায়।ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার এই সামরিক অভিযানে প্রতিবেশী বেলারুশ থেকেও সেনারা যোগ দিচ্ছেন। রাশিয়ার পাশাপাশি বেলারুশ সীমান্ত থেকেও হামলা চালানো হচ্ছে বেলারুশ দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। বেলারুশে রাশিয়ার কয়েক হাজার সেনা রয়েছে। বেলারুশের সঙ্গে সম্প্রতি সামরিক মহড়া করে রাশিয়া।