বাজারে নতুন করে বাড়ল তিনটি পণ্যের দাম—মসুর ডাল, ভোজ্যতেল ও গরুর মাংস। এর বাইরে আলু ছাড়া মোটামুটি সব সবজির দাম বাড়তি। বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোটা ও সরু দানার মসুর ডালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল ও পাম সুপার তেলের দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি ৩ টাকা। আলু ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং ডিমের দাম হালিপ্রতি ২ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট কাঁচাবাজার, টাউন হল কাঁচাবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মসুর ডাল প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হয়। মোটা দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গত বছর এই সময়ে মোটা দানার মসুর ডালের দাম ছিল প্রতি কেজি ৭০ টাকা। এক মাস আগেও ছিল ৯০ টাকা। এক বছরের হিসাবে, এই ডালের দাম বেড়েছে সাড়ে ৪৪ শতাংশ।ঢাকার মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের মুদিদোকানি গোলাম মাওলা প্রথম আলোকে বলেন, পাইকারি পর্যায়েই মসুর ডালের দাম বেড়ে গেছে।বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম এক সপ্তাহ আগেই লিটারে ৫ থেকে ৮ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি শুরু করেছিল বিপণনকারী কোম্পানিগুলো। নতুন দর লিটারপ্রতি ১৬৫ থেকে ১৬৮ টাকা। পাঁচ লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৮৫ থেকে ৮০০ টাকায়। এবার লিটারে তিন টাকা বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেল ১৫৫ টাকা ও পাম সুপার তেল ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ ও পাম সুপার তেলের দাম বেড়েছে ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
চালের দাম কমছেই না। এদিন খুচরা দোকানে মোটা চাল (গুটি-স্বর্ণা) মানভেদে প্রতি কেজি ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা, মাঝারি বিআর-২৮ জাতের চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, সরু মিনিকেট চাল ৬২ থেকে ৬৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭২ থেকে ৭৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।নতুন আলু পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর দাম একেবারেই কম। তবে অন্য সবজির দাম বাড়ছে। বৃহস্পতিবার টাউন হল ও কারওয়ান বাজারে কিছুটা বড় আকারের লাউ প্রতিটি ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। বেগুনের (লম্বা) কেজি ৭০ টাকা। শিম, মুলা ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। ছোট আকারের একটি মিষ্টিকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, অনেক এলাকায় এখন বোরো ধান রোপণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। তাই শীত মৌসুমের সবজির সরবরাহ কমছে। এ কারণে সবজির দাম একটু বাড়তি।মাংসের বাজারে গরুর মাংসের দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য এই দর সাধারণত ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে থাকে। ফার্মের মুরগির ডিম কেনা যাচ্ছে প্রতি হালি ৩৬ টাকায়। ডজন কিনলে দাম রাখা হচ্ছে ১০৫ টাকা।বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, চীনা রসুন ১২০ টাকা এবং আদা ১১০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।