বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে নিচের স্তরে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের নির্দেশনা আংশিক শিথিল করা হয়েছে। ব্যাংকভেদে ধাপে ধাপে নতুর বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করতে হবে।
করোনা পরিস্তিতির কারণে ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে আগের নির্দেশনা শিথিল করেছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
গত ২০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এন্ট্রি লেবেলে নিয়োগ করা কর্মীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে দেয়। নতুন বেতন কাঠামো আগামী মার্চ থেকে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের পক্ষ থেকে গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে সময় বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা শিথিল করেছে।
এতে বলা হয়, ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া ও এর পরে চালু হওয়া হওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক এন্টি লেবেলে জেনারেল সাইডে নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বেতন ভাতাদি কমপক্ষে ৩৯ হাজার টাকা ও ক্যাশ বিভাগে নিয়োগ পাওয়াদের কমপক্ষে ৩৬ হাজার টাকা প্রদানের লক্ষ্যে মূল বেতন ভাতাদি নির্ধারন যথা সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। এর মধ্যে মূল বেতন ভাতাদি আগামী এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। বাকি বেতন ভাতাদি ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে পরিশোধ করতে হবে। তবে সংশ্লিস্ট ব্যাংক চাইলে আগামী এপ্রিল থেকে সব বেতন ভাতাদি কার্যকর করতে পারবে। নতুন বেতন কার্যকর হওয়ার আগে একই পদে আগে থেকে কর্মরতদের বেতন ভাতা সমন্বয় করতে হবে। উলেখিত ব্যাংকগুলোর ব্যতীত অন্যান্য সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে বেতন ভাতাদি পরিশোধের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রয়োজ্য হবে।
শিক্ষানবিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে জেনারেল সাইডে নিয়োগকৃতদের কমপক্ষে ২৮ হাজার টাকা, ক্যাশ বিভাগে নিয়োগকৃতদের কমপক্ষে ২৬ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ করতে হবে। আগের বেতন ও নতুন বেতনের মধ্যে যে পার্থক্য হবে তার কমপক্ষে ৫০ শতাংশ আগামী এপ্রিল থেকে পরিশোধ করতে হবে। বাকি ৫০ শতাংশ আগামী বছরের এপ্রিল থেকে দিতে হবে। তবে কতৃপক্ষ চাইলে আগামী এপ্রিল থেকেই সব বেতন ভাতা পরিশোধ করতে পারবে।
সার্কুলারে বলা হয়, মেসেঞ্জার, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তাকর্মী, অফিস সহায়ক বা সমজাতীয় কর্মীদের বেতন ভাতাও নির্দারন করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিভাগীয় শহরসহ নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুরে কর্মরতদের বেতন হবে কমপক্ষে ২৪ হাজার টাকা। অন্যান্য জেলা শহরে কর্মরতদের কমপক্ষে বেতন হবে ২১ হাজার টাকা। উপজেলা পর্যায়ে হবে ১৮ হাজার টাকা। এক্সেত্রে নতুন বেতন ও আগের বেতনের মধ্যে যে পার্কথ্য হবে তার ৫০ শতাংশ আগামী এপ্রিল থেকে এবং বাকি অংশ আগামী বছরের এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে হবে। তবে কোন ব্যাংক চাইলে পুরো বেতন আগামী এপ্রিল থেকেই দিতে পারবে।
আউট সোর্সিং নিয়োগের ক্সেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারন করতে হবে।