ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের পাওনাদার গ্রাহকদের ৫৬ কোটি ৮৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ছাড় করতে ৩ ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।আজ রোববার ব্যাংক এশিয়া, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) চিঠি পাঠিয়ে টাকা ছাড়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিউকমের পরিশোধ সেবাদানকারী (পেমেন্ট গেটওয়ে) প্রতিষ্ঠান ফস্টার করপোরেশনের নামে থাকা তিন ব্যাংকের তিনটি ব্যাংক হিসাবে এ টাকাগুলো জমা আছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কিউকমের সবচেয়ে বেশি ২৯ কোটি ৪৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা জমা রয়েছে ব্যাংক এশিয়ার গুলশান শাখায়। মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) নগদ, বিকাশ, ওয়ান ব্যাংকের ওকে ওয়ালেট এবং শিওরক্যাশের মাধ্যমে গ্রাহকেরা কিউকমের কাছ থেকে পণ্য কেনার আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রাহকেরা পণ্য পাননি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকের বাড্ডা শাখায় ১৫ কোটি এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় আটকে আছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এই দুই ব্যাংকে আটকে থাকা টাকা এসেছে নগদের কাছ থেকে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ফস্টারের ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা কিউকমের গ্রাহকদের এ টাকা ফেরত দিতে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২৩ জানুয়ারি কিউকমের ২০ গ্রাহককে ৪০ লাখ টাকা ফেরত দেয়। এই গ্রাহকেরা কিউকমে পণ্যের ক্রয়াদেশ দিয়ে দীর্ঘদিন পণ্য বা টাকা—কিছুই পাচ্ছিলেন না। তার আগে কিউকম ও ফস্টার যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রথম দফায় ৬ হাজার ৭২১ গ্রাহকের একটি আংশিক তালিকা দেয়। তাঁদের ফেরত দেওয়া হবে মোট ৫৯ কোটি ৫ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ৩ দিনে ১৭৫ গ্রাহক ৩ কোটি টাকার মতো পেয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার আরও পাঁচ কোটি টাকা ছাড় হওয়ার কথা থাকলেও ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এমনকি এমএফএসগুলোও সমস্যা করছিল এত দিন। তবে এরই মধ্যে তা মিটে গেছে।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো এ টাকা নিজের মতো বিনিয়োগ করে মজা পেয়ে গেছে। টাকা দিতে এখন গড়িমসি করছে তারা, অথচ টাকাগুলো তাদের নয়।