ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প চালু করে ফ্ল্যাট বানিয়ে বস্তিবাসীকে বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন।সংগঠনের নেতারা লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, ১৯৯৭ সালে তৎকালীন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আফছার উদ্দিন ভাষানটেক বস্তির কয়েক হাজার বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ করেন। পরে বস্তিবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৮ সালে ভাষানটেক পুনর্বাসন নামে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। পরে নর্থ–সাউথ প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (এনএসপিডিএল) নামের একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ের চুক্তি হয়। চুক্তির পর বস্তি উচ্ছেদ করে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ১৫ হাজার ২৪টি ফ্ল্যাট বানানোর কথা থাকলেও মাত্র ২ হাজার ফ্ল্যাট বানানো হয়েছে। তবে চুক্তিপত্রের শর্তভঙ্গসহ নানা অভিযোগে ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর এনএসপিডিএলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে সরকার। পরে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেয় ভূমি মন্ত্রণালয়।
ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় দায়িত্ব নেওয়ার ১২ বছর পার হলেও একটি ভবনও নির্মাণ করা হয়নি। বন্ধ হয়ে আছে ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ। আর যাঁরা ফ্ল্যাট পেয়ে প্রকল্প এলাকায় বসবাস করছেন, তাঁরা ভালো নেই। প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাসিন্দাদের অপমান করেন। ফ্ল্যাটের মালিকদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা হারে আদায় করলেও ওয়াসাকে টাকা দেওয়া হয়নি। ওয়াসার প্রায় চার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
সংগঠনের নেতারা বলেন, ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের দাবি না মানা হলে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয়ে স্মারক লিপি দেওয়া হবে। আগামী ২০ মার্চ ভাষানটেক প্রকল্পের খালি মাঠে বস্তিবাসী ও নিম্নবিত্তরা সমাবেশ করবে। আর ২৭ মার্চ ভূমি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি আইনজীবী আবদুর রউফ আকন্দ, কার্যকরী সভাপতি আবদুল জব্বার মিয়া, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রতন খান প্রমুখ।