কবিতা- জানবো না ফিরে আসার আহ্বান।

স্বপ্নের বেড়াজাল ছিঁড়ে বাস্তবতা অবলোকন করেছি,
নতুন ভুবনের মোহে আর বিন্দুমাত্র আকৃষ্ট হই না।
জীবনের ভালো থাকার প্রজাপতিটা সেই কবে উড়াল দিয়েছে।
আমি চেয়ে চেয়ে দেখেছি, কিন্তু ধরতে পারিনি।
চাইলেই ধরা যেত, কিন্তু তাকে বন্দি রাখতে সায় দেয়নি মন।

স্বাধীনতার পরম সুখ উৎযাপনে ব্যস্ত প্রজাপতিটা ভুলে গেছে আমায়।
মিছে আশা নিয়ে অপেক্ষায় থাকি তার,
সে আসে না, আসবে না আর কখনো।
আমি যে তার প্রচন্ড ভালোবাসতে গিয়ে ব্যথা দিয়ে ফেলেছি।
শক্ত করে আগলে রাখতে গিয়ে নষ্ট করেছি তার রঙ্গিন পাখার রঙ।
তবুও রাগেনি সে, অভিমানে ঘুরিয়ে রাখেনি মুখ।
তবে সূক্ষ্ম করে বুঝিয়ে দিয়েছে, তোমার ভালোবাসা আমার চাই না। মুক্তি দাও আমায়।
তাইতো আকাশের নীল খামে সমস্ত কষ্ট জমা রেখে তাকে আমি মুক্তি দিয়েছি।

ওহে আমার সুখের প্রজাপতি,
জানো কি তুমি? তোমার আশার পথে বসে থাকতে থাকতে রাস্তার সেই ধূলোমলিন গাছটির মতো হয়েছি আমি।
চোখের জল শুকিয়ে ভারি হয়েছে দীর্ঘশ্বাস!
যন্ত্রণার অনলে পুড়তে পুড়তে আমি নিঃশেষ হয়ে গেছি।
তবুও আমি আর হাতছানি দিয়ে ডাকবো না তোমায়,
জানাবো না ফিরে আসার আহ্বান।

“জানাবো না ফিরে আসার আহ্বান”
লেখাঃ মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।

Leave a Comment