পঞ্চগড় প্রতিনিধি: মাদকাসক্ত ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩২) মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে তার মা জাইতুন বেগম (৫৫) কে হত্যা করেছে। তাদের বাড়ি পঞ্চগড় পৌর এলাকার পশ্চিম মিঠাপুকুর গ্রামে। নিহত জৈতুন বেগম গ্রামের আবদুল মজিদের স্ত্রী। শনিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী শহিদুল ইসলাম ওই এলাকায় মাদকাসক্ত হিসাবে পরিচিত। কখনও কখনও ওষুধ কেনার জন্য তিনি তার বাবা-মা এবং বোনকে মারতেন। কয়েক বছর আগে তার আচরণের কারণে তার স্ত্রী মারা যান। তার বিরক্তি যখন বেড়ে যায়, তার পরিবারের সদস্যরা তাকে দেড় বছর আগে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। কয়েক মাস আগে তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। তারপরে তিনি আবার আসক্ত হয়ে পড়েন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার রকিবুল হাসান জানান, জাইতুন বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে মৃত। গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার বিকেলে প্রতিবেশী মালেকা বেগম জনম টিউবওলের পাশে কাজ করছিলেন যখন তার মা জাইতুন বেগম। প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে তার ছেলে শহিদুলকে পালিয়ে যেতে দেখে। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
প্রতিবেশী মোঃ খোকন মাদকসেবী শহিদুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে বলেন যে শহিদুল ইসলাম তিন বছর আগে তার বাবাকে মাদকের টাকার জন্য মারধর করেছিল। তারপরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আজ মাদকের টাকায় টাকা না পেয়ে শহিদুল তার মাকে হত্যা করে। তাঁর মা লোকদের ঘরে রান্না করে নদীর পাথর তুলে পরিবারের জন্য অর্থ সরবরাহ করেছিলেন। এত অভাবের মধ্যে তার ছেলের কাছে মাদকের অর্থ সরবরাহ করা তার পক্ষে অসম্ভব ছিল।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এস এম শফিকুল ইসলাম ঘটনার কথা শুনে হাসপাতালে যান। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তাঁর মা তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছেন। ঘটনার পরে, আমাদের বাহিনী মাদকাসক্ত ছেলেটিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করছে। তিনি জানান, শিগগিরই শহিদুল ইসলামকে খুঁজে পাওয়া যাবে।