সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে তা তিনি মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। বুধবার দুপুর থেকে তারা আমরণ অনশনের বসেছেন। তারা এ দিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপাচার্যকে আল্টিমেটাম দেন।
এসব বিষয়ে বুধবার সকালে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিরা গালিগালাজ সহ্য করে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করছে। এখানে আমার যদি কোনো দোষ থাকে তাহলে তদন্ত কমিটি হবে। সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে আমি তাই মেনে নেব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের চতুর্থ দিন বিকালে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তাতে শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন।
এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা নির্দেশ উপেক্ষা করে হলে অবস্থান করেন। তারা উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে নতুন আন্দোলন শুরু করেন।
এদিকে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর পর পুলিশ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেখানে অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়। গুলি বর্ষণ ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ আনা হয় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।