নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কারসাজিতে হেরে গেছেন তিনি।
রোববার ঢাকার উপকণ্ঠের এ সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণ হয়। সন্ধ্যা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছেন। সেখান থেকে প্রাপ্ত ১০০টি কেন্দ্রের ফলাফলে ২৮ হাজারের বেশি ভোটে তৈমুরের চেয়ে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। তবে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আসা ফলাফলে আইভীর বিপুল ভোটে বিজয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
টানা তৃতীয় মেয়াদে নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচিত হতে চলা আইভীর সমর্থকেরা যখন উল্লাস করছিলেন, সে সময় নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৈমুর আলম খন্দকার। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ হারিয়েছেন তিনি।
রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, প্রশাসন, পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন আমার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। আমি ইভিএমের ইন্টারনাল মেকানিজমে হেরেছি।’
এরপরও নারায়ণগঞ্জবাসী ও গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বলেছেন, এ নির্বাচনে জনগণের বিজয় হয়েছে। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
নির্বাচনের প্রচার চলাকালে নানা অভিযোগ করেছিলেন তৈমুর আলম খন্দকার। তাঁর কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে জানিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছিলেন তিনি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপও চেয়েছিলেন তিনি।
ভোটের পর এসব বিষয়ে তৈমুর আলম বললেন, ‘শুরু থেকে আমার লোকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আমি লিখিতভাবে তিনটা অভিযোগ করেছি। একটার ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়নি।’