অর্থ পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা দুটি মামলায় ইতিপূর্বে আদালতের দেওয়া আদেশ পুনর্বিবেচনা ও জামিন চেয়ে ডেসটিনি গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এর আগে মামলা দুটিতে জামিন চেয়ে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট হাইকোর্টে বিফল হন ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করে জামিন চান তিনি। শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ আবেদন খারিজ করে দেন। এই আদেশ পুনর্বিবেচনা ও জামিন চেয়ে গত বছর আপিল বিভাগে আবেদন করেন তিনি; যা আজ শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রফিকুল আমীনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।আইনজীবী সাঈদ আহমেদ বলেন, এ ধরনের মামলায় সর্বোচ্চ সাজা ১২ বছর। এই সাজা ইতিমধ্যে রফিকুল আমীনের খাটা হয়ে গেছে। কিন্তু বিচার শেষ হয়নি। এতে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে যে দুর্নীতির এমন মামলায় হয়তো কখনো বিচার শেষ হওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, গাছ বিক্রি করে অর্থ পরিশোধের অঙ্গীকার করেছিলেন রফিকুল আমীন। ডেসটিনির গাছগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য সাজাও তিনি খেটে ফেলেছেন। তাই ওই অঙ্গীকার অর্থহীন। এসব যুক্তিতে পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ডেসটিনির গাছ বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করার অঙ্গীকার করেছিলেন রফিকুল আমীন। শর্ত পূরণ না করায় তাঁর জামিন ও পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির ২৩ কর্তাব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। মামলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। একই বছরের ৬ আগস্ট বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। রফিকুল আমীন প্রথমে জামিন পান। পরে ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর জামিন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৪ সালের মার্চে ওই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।দুই মামলার একটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে ও অন্যটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে বলে জানান দুদকের আইনজীবী।