করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চলাচল করবে। তবে, এ জন্য কোনো ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না।
বুধবার বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক শেষ বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এই সিদ্ধান্তের কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান বলেন, যত আসন তত যাত্রী পরিবহন করার দাবি জানিয়েছেন তারা। তাদের এই দাবি বিবেচনার জন্য সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআরটিএ।
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বাস, ট্রেন ও লঞ্চে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহনসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এর আওতায় সারা দেশে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সমাবেশ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
বিআরটিএ কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত সূত্র জানায়, পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা বলেছেন সবকিছু খোলা রেখে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চালালে গণপরিবহনে সংকট তৈরি হবে। যাত্রীরা বাস পাবে না। এ ছাড়া পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যত আসন তত যাত্রী পরিবহন করলে সংকট কিছুটা কম হবে। এ পরিস্থিতিতে বিআরটিএর চেয়ারম্যান পরিবহন খাতের নেতাদের আশ্বস্ত করেন যে, তাদের দাবিটি প্রস্তাব আকারে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারা সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।
বিআরটিএর সূত্র বলছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চালানোর যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা মানার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপরও যত আসন তত যাত্রীর দাবিটি বিবেচনায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ যত আসন তত যাত্রীর দাবি সরকার আমলে না নিলে শনিবার থেকে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখেই বাস চলবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাস্তবতা বিবেচনা করে যত আসন তত যাত্রীর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সব চালক ও সহকারীকে টিকার আওতায় আনার বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন। এ জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিতে পরিবহন শ্রমিকদের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর দাবি জানানো হয়েছে।