এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ফের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটির ধরন তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার দাবি করে উত্তর কোরিয়া। এতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সমালোচনার মুখে পড়ে দেশটি।
মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৭ মিনিটের দিকে দক্ষিণ কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনাটি শনাক্ত করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ বলেন, ‘পূর্ব সাগরে উত্তর কোরিয়ার সন্দেহজনক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি আমাদের সেনাবাহিনী শনাক্ত করেছে।’
এদিকে জাপানের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া ‘ব্যালিস্টিক মিসাইলের মতো বস্তু’ ছুড়েছে।
গত ১ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের ১০ বছর উপলক্ষে দেওয়া বক্তৃতায় পারমাণবিক অস্ত্রের চেয়ে তার দেশের অর্থনীতি ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
কিন্তু, এর মাত্র চার দিন পর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে উত্তর কোরিয়া। দেশটি দাবি করে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ছিল ‘হাইপারসনিক’।
সোমবার জাতিসংঘে ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, জাপান, যুক্তরাজ্য ও আলবেনিয়াকে সঙ্গে নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এর পরদিনই আবার কোরীয় উপকূলের দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সংবাদ এলো।