সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে না হতে রাজধানীতে ঘাম ঝরানো গরম পড়েছিল। শীতের মিষ্টি রোদ আর হালকা ঠান্ডা বাতাস পালিয়ে যায়। তার জায়গা দখল করে নেয় প্রখর রোদ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ বলছে, আজ রোববার রাজধানীতে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল, যা গত ৪৩ বছরের মধ্যে ৯ জানুয়ারির সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা।
গত ৫০ বছরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে থাকা রেকর্ড অনুযায়ী, সাধারণত ৯ জানুয়ারি দিনের বেলা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে। আজ ঢাকায় দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৭৮ সালের এদিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল। কিন্তু এরপর কোনো বছরই দিনের তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ওঠেনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এ বছর জানুয়ারিতে শীত নামতে না নামতে আকাশে মেঘের আনাগোনা বেড়ে যাচ্ছে। যে কারণে পুরোদমে শীত নামতে পারছে না।
উত্তরাঞ্চল ছাড়া দেশের অন্য কোথাও শীত জেঁকে নামেনি। রাজধানীসহ বড় শহরগুলোতে দিনের বেলা রীতিমতো উষ্ণতার অনুভূতি পাওয়া যাচ্ছে। দুদিন ধরে ভূমধ্যসাগর থেকে মেঘের একটি দল বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আসতে শুরু করেছে। আজ এ মেঘের দল দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ চলে এসেছে। এ মেঘের দাপটে শীতল বাতাস সরে গেছে। ফলে শীত কমে গেছে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, আগামীকাল সোমবার সন্ধার পর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। আর এর পরদিন বৃষ্টি আরও বেড়ে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে। তবে রাতের তাপমাত্রা খুব বেশি কমবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সোমবারের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আর রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অন্যান্য এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। তবে আগামীকাল তা কিছুটা কমতে পারে।