৩২ ঘণ্টা পার হলেও নারায়ণগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী ট্রলারের খোঁজ মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকালে নতুন করে আরও দুজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নিখোঁজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০।ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ জেলার উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদীর মোহনা, জোয়ার–ভাটা ও নদীর গভীরতার কারণে ট্রলার শনাক্ত করা যাচ্ছে না। নৌবাহিনী সোনার (পানির গভীরে খুঁজে দেখার ক্যামেরা) যন্ত্র ফেলে ট্রলারটি শনাক্তের চেষ্টা করছে। আমরা এখন লাশ ভেসে ওঠার অপেক্ষায় করছি। ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকাগুলোতেও লাশের সন্ধান চলছে।’
বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। ট্রলারটি শনাক্ত করতে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিটিএর চারটি ডুবুরি দল কাজ করছে বলে জানান আবদুল্লাহ আল আরেফিন।এদিকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান না পেয়ে স্বজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা যেকোনো মূল্যে তাঁদের প্রিয়জনদের খোঁজ পেতে চান। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ধলেশ্বরীর পাড়ে স্বজনেরা ভিড় করেন। তাঁদের কেউ সন্তান, কেউ স্বজন, কেউবা সহকর্মীর সন্ধানে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।ট্রলারটিকে ডুবিয়ে দেওয়া এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি জব্দ করে লঞ্চের চালক–মাস্টারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার মিনা আক্তার বলেন, বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলাটি করেন। আসামিরা হলেন লঞ্চের মাস্টার মো. কামরুল হাসান, চালক মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও সুকানি মো. জসিম মোল্লা।বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ওই লঞ্চের ধাক্কায় অন্তত ৭০ যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।