করোনার নতুন ধরন অমিক্রন থেকে সুরক্ষায় ১৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।মঙ্গলবার এক তথ্য বিবরণীতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রনের আশঙ্কায় যানবাহনে অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে চলাচলসহ একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আসছে। সাত দিন পর থেকেই এসব বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন শুরুর সুপারিশ করা হয়েছে। যেখানে যানবাহনে মাস্ক ছাড়া চললে জরিমানা করা, যানবাহনে যাত্রী পরিবহন ধারণক্ষমতার অর্ধেক করা, দোকান খোলা রাখার সময়সীমাও রাত ১০টার পরিবর্তে ৮টা পর্যন্ত করা, রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে টিকা কার্ড দেখানোর বাধ্যবাধকতাসহ বেশ কিছু বিধিনিষেধ থাকছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ দফা নির্দেশনাও কিছুটা একই ধরনের।
নির্দেশনাগুলো হলো:
১. দেশের বন্দরগুলোতে অমিক্রন আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে।
২. সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য) নিরুৎসাহিত করতে হবে।
৩. প্রত্যেক ব্যক্তিকে বাড়ির বাইরে গেলে সব সময় সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার ব্যবস্থা ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম করতে হবে।
৫. সব ধরনের জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনোদনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল, থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম লোক অংশগ্রহণ করতে পারবে।
৬. মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
৭.গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
৮.আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।
৯. সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
১০. সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সেবাগ্রহীতা, সেবা প্রদানকারী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সব সময় সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
১১. যারা এখনো কোভিড–১৯–এর টিকা গ্রহণ করেননি, তাঁদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
১২. করোনা উপসর্গ বা লক্ষণযুক্ত সন্দেহভাজন বা নিশ্চিত কোভিড রোগীদের আইসোলেশন এবং করোনা পজিটিভ রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে
১৩. করোনার লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা এবং তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সহায়তা করা যেতে পারে।
১৪. অফিসে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দাপ্তরিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
১৫. টিকা নেওয়া থাকলেও বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
এ ছাড়া কমিউনিটি পর্যায়ে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সচেতনতা তৈরির জন্য মাইকিং ও প্রচার চালানো যেতে পারে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।