সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের জের ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের তাড়ল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা গুলিবিদ্ধ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। ঘটনাস্থল থেকে রাবারের গুলির খোসা উদ্ধার করা হলেও পুলিশ বলছে, আহত ব্যক্তিদের শরীরে গুলির কোনো জখম তারা পায়নি।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, তাড়ল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গত ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ওই ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আহম্মদ চৌধুরী এবং তাড়ল গ্রামের বাসিন্দা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সুফি মিয়া চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। ওই নির্বাচনে আহম্মদ চৌধুরী পরাজিত হন। বিএনপি নেতা সুফি মিয়া চৌধুরী নির্বাচনে আহম্মদ চৌধুরীর বিরোধী পক্ষে ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে দিরাই বাজারের হাইস্কুল রোডে আহম্মদ চৌধুরীর ছোট ভাই সুজন মিয়ার সঙ্গে নির্বাচনী বিষয় নিয়ে সুফি মিয়ার কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতে সুফি মিয়া চৌধুরী বাদী হয়ে আহমদ চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এর জের ধরে রোববার সকালে আহম্মদ চৌধুরী ও সুফি মিয়া চৌধুরীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহম্মদ চৌধুরীর পক্ষের আমিনুর চৌধুরী (২৬) ও আল আমিন চৌধুরী (৩৮) এবং সুফি মিয়ার পক্ষের সুফি মিয়া চৌধুরী (৫৫), তাঁর ছেলে ইদু মিয়া চৌধুরী (৩০) আহত হন।
আহম্মদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি বাজারে যাওয়ার পথে সুফি মিয়ার লোকজন হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমার লোকজন সেখানে গেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। আমাদের দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
সুফি মিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নয়, আহম্মদ চৌধুরীর লোকজনই আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালিয়েছে। আমরা নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেছি।’
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি রাবারের গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের শরীরে গুলির কোনো জখম দেখেননি। এ ঘটনায় কোনো আটক নেই। থানায় এ নিয়ে কোনো মামলা হয়নি।