জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’: প্রধানমন্ত্রী

জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণে সরকারের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, দেশবাসীর শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়াই তাদের লক্ষ্য।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও মহান বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনী পর্বে সভাপতির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। কারণ দেশের মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দারিদ্র্যের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের প্রতিটি গৃহহীনকে ঘর করে দেওয়ার কর্মসূচি সরকার অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস এগিয়ে যাওয়ার পথে অনেকটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও এই কোভিড-১৯কে নিয়ন্ত্রণ করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সরকার সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ জাতির পিতার পররাষ্ট্র নীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ অনুসরণ করেই সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ সমানভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে এবং তারা সেটা পালন করছে, সেটা আমরা নিশ্চিত করেছি।

বাংলার মুক্তির সংগ্রামে সার্বিক সহায়তার জন্য ভারতের অবদানের কথা পুনরায় স্মরণ করে শেখ হাসিনা সুবর্ণজয়ন্তীর এই উদ্‌যাপনে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, ‘ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ সম্মানিত অতিথি হিসেবে এই গৌরবগাথা দিনে আমাদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন। আমি তার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয় যৌথভাবে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।

জাতির পিতার ছোট মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

ভারতীয় রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।

শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় কমিটি ও জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী স্বাগত বক্তৃতা করেন।

Leave a Comment