শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

বাসে অর্ধেক ভাড়া (হাফ পাস) ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলা আন্দোলনের মধ্যেই রোববার রাজধানীর রামপুরায় ভাড়া নিয়ে কথা–কাটাকাটির জেরে এক শিক্ষার্থীকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ঢাকা ইম্পিরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাইদা নামের পরিবহন কোম্পানির ২০ থেকে ৩০টি বাস আটকে দেন। পরে রামপুরা থানায় মালিকপক্ষের লোকজন শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আশ্বস্ত করলে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাইদা পরিবহনের মালিকপক্ষের লোকজন আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তাঁরা অর্ধেক ভাড়া নেবেন। বাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করবেন না। পরে আমরা তাঁদের বাসগুলো ছেড়ে দিয়েছি।’

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, রাইদা পরিবহন অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার আশ্বাসসহ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছে। পরে শিক্ষার্থীরা আটকে রাখা বাসগুলো ছেড়ে দেন।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণায় ৭ নভেম্বর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে বাসভাড়া ২৬ থেকে ২৭ শতাংশ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাসে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে ১৮ নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করেন রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলার মধ্যে গত বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান নিহত হয়। সেদিন থেকে হাফ পাসের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠা ও নাঈম হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা।

টানা ৯ দিন রাজপথে আন্দোলনের পর সরকারের আশ্বাসের ভিত্তিতে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যান তাঁরা। তখন তড়িঘড়ি করে নতুন সড়ক আইন পাস করা হয়। কিন্তু সেই আইন আজও বাস্তবায়িত হয়নি।

Leave a Comment